সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হওয়া শিশুকে দেখতে গেলেন আফরোজা
Published: 16th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হওয়া ভুক্তভোগি আট বছর বয়সের শিশুকে দেখতে গিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী মির্জা আফরোজা আব্বাস।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আটিগ্রাম এলাকায় ভুক্তভোগি শিশুর বাসায় যান তিনি।
এসময় শিশুটির অভিভাবকদের সাথে কথা বলে তিনি তাদের খোঁজ খবর নেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তাও দেন।
আফরোজা আব্বাস তাদের জানান, তারেক রহমান এই পরিবারটির পাশে আছেন এবং শিশুটির চিকিৎসাসহ আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
আফরোজা আব্বাসের সাথে এসময় জেলা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস পরে সাংবাদিকদের বলেন, “মাগুরার আছিয়া ধর্ষণকারির বিচার হলে পরবর্তীতে দেশে শিশু নির্যাতনের এতোগুলো ঘটনা ঘটতো না। সারা দেশে লাগামহীন ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার জন্য বিগত শেখ হাসিনার সরকারের বিচার ব্যবস্থাই দায়ী।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী সরকার কোন ধর্ষণের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করায় দেশে গণধর্ষণের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।”
ধর্ষণ রোধে বর্তমান সরকারকে আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে ধর্ষণকারিদের প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ফাঁসিয়ে ঝুলিয়ে বিচার নিশ্চিতসহ কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী।
গত ১৪ মার্চ (শুক্রবার) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকায় মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুটি মুদি দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। এসময় মুদি দোকানি সেলিম চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে দোকানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। তখন আশেপাশের লোকজন শিশুর চিৎকার শুনে এসে সেলিমকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত সেলিমকে আটক করে।
ঢাকা/অনিক/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফর জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে গণপিটুনিতে শিশু নিপীড়নে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু
বরিশাল নগরীতে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত সুজন নামে এক যুবক স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যার পর সুজন নগরীর ধান গবেষণা রোড এলাকায় গণপিটুনির শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গণপিটুনিতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে সুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক শিশুর বাবা ।
ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিশুটি একটি রান্নার পাত্র ফেরত দিতে প্রতিবেশী সুজনের ঘরে যায়। এসময় ঘরে একা থাকা সুজন ওই শিশুকে ধর্ষণের চেস্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সুজন দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা কোতয়ালী মডেল থানায় সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর পুলিশ ওই এলাকায় তদন্তে যায়। পুলিশ তদন্তে আসার খবরে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দিতে সুজনকে আটক করে রাখে। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় সুজন। এ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পরই সুজন মারা যায়।
সুজনের স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন সুজনের স্বজনরা।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মানিক সাহা বলেন, “নিহতের লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিশুর বাবার করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায়ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কেউ আটক হননি।”
ঢাকা/পলাশ/টিপু