মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন
Published: 16th, March 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.
দণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম জেলার শ্রীনগর উপজেলার পুটিমারা গ্রামের অলিউল্লাহ মোল্লার স্ত্রী।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সৌদি প্রবাসী অলিউল্লাহর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন মাজেদা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
ঢাকা/রতন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
রূপগঞ্জে সাব্বির রহমান নামে এক শ্রমিককে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আনিসুর রহমান ও ইব্রাহীম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলার অন্য ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, হত্যাকারী তিনজন ও ভুক্তভোগী মো. সাব্বির রহমান একসঙ্গে দীর্ঘদিন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তারা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ টেনে একই তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শিট দিয়ে ঢেকে রাখেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেন।