ফিল্ডিংয় কেন এত আগ্রাসী থাকেন, জানালেন কোহলি
Published: 16th, March 2025 GMT
মাঠের বিরাট কোহলি কতটা আক্রমণাত্মক স্বভাবের, তা সবার জানা। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁকে বরাবরই আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে তিনি মাঠে কম কাণ্ড-কারখানার জন্ম দেননি।
অধিনায়ক না হয়েও কখনো কখনো নিজেই ফিল্ডিং সাজিয়ে দেওয়া, কোনো সতীর্থ বাজে ফিল্ডিং করলে চোখরাঙানি দেওয়া, কখনো ‘ফেক ফিল্ডিং’ করা, উইকেটের পর বুনো উদ্যাপন! এ ছাড়া প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে অনবরত স্লেজিং করে যাওয়া, এমনকি বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিংয়ের সময় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করে বিতর্কের জন্ম দেওয়া—কী করেননি কোহলি? সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তো অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মেরে জরিমানাও গুনেছেন।
মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোহলি যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনি যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে প্রশংসিতও হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মাঠের বাইরে কোহলিকে শান্তশিষ্ট মনে হলেও ফিল্ডিংয়ের সময় কেন এমন আগ্রাসী থাকেন? উত্তরটা ৩৬ বছর বয়সী তারকা নিজেই দিয়েছেন।
মাঠে নামলেই কোহলি আক্রমণাত্মক স্বভাবের হয়ে ওঠেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাদা কাপড় বাটিকে রঙিন হয় যে গ্রামে
কমলপুর কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম। আয়তনে ছোট হলেও দেশজুড়ে কমলপুর গ্রামের বেশ পরিচিতি। কারণ, বাটিক পোশাকের গ্রাম বা বাটিকপল্লি হিসেবে নাম কুড়িয়েছে এটি। এখানকার বাসিন্দারা সারা বছরই বাহারি বাটিকের পোশাক তৈরি করেন। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে এই বাটিকপল্লিতে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণে।
কমলপুর গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ল বাটিকপল্লির কর্মব্যস্ততা। তৈরি হচ্ছে রংবেরঙের বাটিকের পোশাক। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে এ বছর নানা ধরনের নকশায় তৈরি করা হচ্ছে বাটিক শাড়ি ও থ্রি-পিস। সাদা কাপড়ের মধ্যে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা আর ক্রেতার চাহিদার কথা ভেবে নিত্যনতুন নকশা ফুটিয়ে তুলছেন কারিগরেরা।
কমলপুর বাটিকপল্লির তিনটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, প্রথমে প্রিন্ট করার জন্য কাপড় কেটে প্রস্তুত করা হয়। এরপর মোম দিয়ে সেই কাপড়ে নানা ধরনের নকশা করেন কারিগরেরা। রঙের স্থায়িত্ব বাড়াতে রং করার পর কাপড় সেদ্ধ করে একটি দল। সেখান থেকে তুলে কাপড়ে মাড় দিচ্ছে আরেক দল। এরপর সেই কাপড় কয়েক দফা পানিতে ধুয়ে মাঠে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। শুকানোর পর কাপড় ইস্তিরি করে বাজারজাত করার জন্য তৈরি করা হয়।
বাটিকের সিল্ক ও সুতি শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, লুঙ্গি, বেডশিট, গজ কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির জন্য এই গ্রামে অন্তত ১০টি কারখানা আছে। শুরুটা কমলপুর থেকে হলেও এখন আশপাশের কয়েকটি গ্রামেও বাটিকের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তবে গুণে ও মানে এখনো সেরা বলে ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে কমলপুরের বাটিকের পণ্য।
কমলপুর বাটিকপল্লির একটি কারখানার মালিক মো. রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের দিকে আমার চাচা লাল মিয়া মেম্বার এই গ্রামে বাটিক শিল্পের যাত্রা শুরু করেন। তাঁর হাত ধরেই বাটিক কুমিল্লার ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। চাচা ভারতের কলকাতা ও ত্রিপুরা রাজ্যে কাপড়ে মোম ও রং দিয়ে ব্লক তৈরির কাজ শেখেন। এরপর গ্রামে এসে তিনি বাটিক তৈরির কাজ ছোট আকারে শুরু করেন। কালের পরিক্রমায় বাটিকের চাহিদা বাড়তেই থাকে। বিশ্বের অনেক দেশে যাচ্ছে আমাদের গ্রামের বাটিকের পোশাক। আমাদের তৈরি এই বাটিকের পোশাক গুণে ও মানে অনন্য এবং পরতেও আরামদায়ক।’
বাটিক করার জন্য প্রথমে সাদা কাপড় সংগ্রহ করা হয়