মাঠের বিরাট কোহলি কতটা আক্রমণাত্মক স্বভাবের, তা সবার জানা। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁকে বরাবরই আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে তিনি মাঠে কম কাণ্ড-কারখানার জন্ম দেননি।

অধিনায়ক না হয়েও কখনো কখনো নিজেই ফিল্ডিং সাজিয়ে দেওয়া, কোনো সতীর্থ বাজে ফিল্ডিং করলে চোখরাঙানি দেওয়া, কখনো ‘ফেক ফিল্ডিং’ করা, উইকেটের পর বুনো উদ্‌যাপন! এ ছাড়া প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে অনবরত স্লেজিং করে যাওয়া, এমনকি বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিংয়ের সময় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করে বিতর্কের জন্ম দেওয়া—কী করেননি কোহলি? সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তো অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মেরে জরিমানাও গুনেছেন।

মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোহলি যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনি যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে প্রশংসিতও হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মাঠের বাইরে কোহলিকে শান্তশিষ্ট মনে হলেও ফিল্ডিংয়ের সময় কেন এমন আগ্রাসী থাকেন? উত্তরটা ৩৬ বছর বয়সী তারকা নিজেই দিয়েছেন।

মাঠে নামলেই কোহলি আক্রমণাত্মক স্বভাবের হয়ে ওঠেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

রূপগঞ্জে সাব্বির রহমান নামে এক শ্রমিককে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আনিসুর রহমান ও ইব্রাহীম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলার অন্য ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, হত্যাকারী তিনজন ও ভুক্তভোগী মো. সাব্বির রহমান একসঙ্গে দীর্ঘদিন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। 

তারা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ টেনে একই তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শিট দিয়ে ঢেকে রাখেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ