প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক কিট স্পন্সর পেল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দেশীয় স্পোর্টস ব্র্যান্ড ‘দৌড়’ এবার থেকে জাতীয় দলের কিট স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। বাফুফের নতুন কমিটির চার মাসের মাথায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। আর এই চুক্তির পরই প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশ দলের নতুন অ্যাওয়ে জার্সি।

বিদেশের মাঠে, অর্থাৎ অ্যাওয়ে ম্যাচে এই জার্সিতে দেখা যাবে জামাল ভূঁইয়াদের। সম্পূর্ণ লাল রঙের জার্সিটিতে দেশের প্রতীকী চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দারুণ নান্দনিকভাবে। জার্সির মাঝে রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র, নদী, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় ফুল শাপলার ছাপ। বুকের অংশে আঁকা নদীর রেখা যেন বাংলাদেশের নদীমাতৃক বৈশিষ্ট্যের প্রতিচ্ছবি।

নদীগুলোকে তুলে ধরতে ব্যবহৃত হয়েছে হালকা লাল রঙ, যার মাঝে সূর্যের আভাও স্পষ্ট। সেই আভা যেন নতুন দিনের প্রতীক। পাশাপাশি তিন নদীর অববাহিকা এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যা অনেকটা বিজয়ের প্রতীক ‘ভি’-এর মতো। জার্সির হাতায় রয়েছে শাপলার প্রতীকী নকশা, যা শুধু জাতীয় ফুলের প্রতিনিধিত্বই নয়, বরং ফুটবলারের দৃঢ়তা, স্বচ্ছতা ও আত্মবিশ্বাসকেও প্রকাশ করছে। 

হাতার ডিজাইনে ডায়মন্ডের আকৃতিও সংযুক্ত করা হয়েছে, যা জার্সির সৌন্দর্যে যোগ করেছে আরও আধুনিকতা। সবমিলিয়ে জার্সিটি ফুটিয়ে তুলেছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, পরিচয় ও ফুটবল দলের অদম্য স্পিরিট। জার্সির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৪০০ টাকা। অ্যাওয়ে জার্সিটি অফিসিয়ালি কেনা যাবে এই ঠিকানায়। এই জার্সির ডিজাইন করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার তাসমিত আফিয়াত, যিনি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদী এবং দেশের মানচিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই শিল্পকর্মটি গড়েছেন। 

উল্লেখ্য, গত মাসে নারী দলের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমেই বাফুফের সঙ্গে ‘দৌড়’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে সেবার কোনো জার্সি বা ট্র্যাকসুট সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এবার পুরুষ দলের নতুন অ্যাওয়ে জার্সি প্রকাশের মাধ্যমে পূর্ণতা পেল এই স্পন্সরশিপ। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচেই জামাল-হামজাদের এই নতুন জার্সিতে দেখা যেতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

রূপগঞ্জে সাব্বির রহমান নামে এক শ্রমিককে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আনিসুর রহমান ও ইব্রাহীম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলার অন্য ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, হত্যাকারী তিনজন ও ভুক্তভোগী মো. সাব্বির রহমান একসঙ্গে দীর্ঘদিন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। 

তারা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ টেনে একই তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শিট দিয়ে ঢেকে রাখেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ