স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) ডক করেছে, যা ৯ মাস ধরে সেখানে অবস্থানরত দুই নভোচারীকে  পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে মাত্র আট দিনের জন্য মহাকাশে পাঠানো হলেও, বোয়িং-এর স্টারলাইনার ক্যাপসুলের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তারা সেখানে নয় মাস কাটিয়েছেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, তারা এবার স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উইলমোর ও উইলিয়ামস এই সপ্তাহেই পৃথিবীতে ফেরার কথা রয়েছে। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করা হবে। খবর: বিবিসির

বুচ এবং সুনি ২০২৪ সালের জুন মাসে বোয়িং-এর স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আইএসএস-এ পৌঁছান। এটি একটি পরীক্ষামূলক মিশন ছিল, কিন্তু উৎক্ষেপণ ও ডকিংয়ের সময় বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়, যার মধ্যে স্টারলাইনারের থ্রাস্টার ও হিলিয়াম লিকের সমস্যা অন্যতম।

নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, নভোচারীদের স্টারলাইনারে ফিরিয়ে আনার ঝুঁকি না নিয়ে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল ব্যবহার করাই নিরাপদ হবে। যদিও বোয়িং দাবি করেছে যে তাদের ক্যাপসুল নিরাপদ ছিল, তবুও নাসা ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি।

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্পেসএক্স সিইও এলন মাস্ক অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে বুচ এবং সুনিকে এতদিন মহাকাশে রাখা হয়েছে। তবে নাসার কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্পূর্ণ কারিগরি কারণেই তাদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত দেরি হয়েছে এবং নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, আইএসএস-এ নতুন ক্রুদের সঙ্গে দুদিনের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, এরপর উইলমোর এবং উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু করবেন। দীর্ঘ নয় মাস মহাকাশে থাকার পর তারা অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে আসছেন, যা তাদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত হতে যাচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স প সএক স স প সএক স

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ