রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আন্তঃনগর ধূমকেতু ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামি তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

পশ্চিমাঞ্চল রেলের সহকারী চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল সমকালকে জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোছা.

হাসিনা খাতুন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আশিষ কুমার মণ্ডল, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল।

এই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওয়াশপিট থেকে স্টেশনের দিকে আসছিল। তখন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন থেকে ওয়াশপিটের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল পয়েন্টে সমস্যা থাকায় ট্রেন দুটির মধ্যে দুপুরে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ট্রেনের দুটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। পাশাপাশি দুই ট্রেনের চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিকেলে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ট্রেন দুটি সরিয়ে নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত লাইনও সংস্কার করা হয়।

এসব কারণে বিকেল ৪টার পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে তিন ঘণ্টা বিলম্বে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজশাহী থেকে ঢাকার পথে রওনা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সেদিন রানার জন্যই খেলেছিল বাংলাদেশ

ম্যাচের আগের দিন দুর্ঘটনায় মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাঠে নেমে সেই শোককে বানিয়ে ছিলেন প্রেরণা। মাশরাফি-ঝড়ে এলোমেলো হয়ে টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী-দ্রাবিড়ের ভারত অলআউট মাত্র ১৯১ রানে। সেটি বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় তামিম, সাকিব ও মুশফিকের তিন ঝলমলে ফিফটিতে। ৫ উইকেটের জয়ে লেখা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুর্দান্ত এক উপাখ্যান। পোর্ট অব স্পেনে ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ প্রথম আলো থেকে কাভার করেছিলেন উৎপল শুভ্র। পরের দিনের পত্রিকায় প্রকাশিত এই ম্যাচ রিপোর্ট পাঠকদের স্মৃতির ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ১৮ বছর আগের সেই দিনে…

মানজারুল ইসলাম রানা কি এই ম্যাচটা দেখছিলেন? রহস্যময় অজানা যে ভূবনে চলে গেছেন তিনি, সেখানে কি ক্রিকেট-ফ্রিকেট নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়? সেই জগতের আর কেউ না ঘামালেও কেন যেন মনে হয়, ক্রিকেট অন্তপ্রাণ রানা ঠিকই কুইন্স পার্ক ওভালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন কাল।
ত্রিনিদাদের সেই কুইন্স পার্ক ওভালের দিকে, যেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটে যোগ হলো গৌরবের আরেকটি নতুন অধ্যায়। গত বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন মুছে দিয়ে বাংলাদেশ দল ফিরিয়ে আনল ১৯৯৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আপসেট হিসেবে ’৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয়ের পাশেই থাকে সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়। কাল ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ও ক্রিকেটীয় বিচারে আপসেটই। কিন্তু যে আপসেটের পূর্বাভাস দেওয়া যায়, সেটিকে কি আর তেমন আপসেট বলা যায়? বাংলাদেশ দল তো এখানে আসার পর থেকেই বলে আসছিল, ভারত-শ্রীলঙ্কার ভয়ে একদমই কম্পিত নয় তাদের হূদয়। নামে কী আসে যায়! মাঠে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।

আরও পড়ুনশাকিবের সঙ্গে সিনেমা করার প্রস্তাব পেলে কী করবেন তাসকিন১১ ঘণ্টা আগে

তা ভালো বাংলাদেশ খেলল বটে। মাশরাফি-রাজ্জাক-রফিকের বোলিং, তামিম-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং—এই ম্যাচের যা কিছু হাইলাইটস তার সবই তো বাংলাদেশের অবদান। ভারতের প্রবল পরাক্রান্ত ব্যাটিং লাইন আপ মাত্র ১৯১ রানেই শেষ। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে শুরুটা হলো, সেটি অনেককেই ফিরিয়ে নিয়ে গেল ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। সে বিশ্বকাপের জয়াসুরিয়া যেন তরুণতর হয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ওপেন করতে নামলেন। মাত্র ১৭ বছরের তামিম ইকবাল এক ইনিংসেই বদলে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বাকি বিশ্বের ধারণা। জহির খানের ওভারের প্রথম বল হেলমেটে লাগল। জাতীয় দলে এসেছেন এই সেদিন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচটি ছাড়া আর কোনো বড় দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তামিম এরপর কী করতে পারেন? যা করলেন, তা এতদিন অন্য দেশের ব্যাটসম্যানদের করতে দেখে এসেছি আমরা। জহির খানের ওই ওভারেরই শেষ দুই বলে দুই বাউন্ডারি। শেষটি ডাউন দ্য উইকেট বেরিয়ে এসে।

৫৩ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন তামিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ