যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে জেমসের কনসার্ট
Published: 16th, March 2025 GMT
মঞ্চে নগরবাউলখ্যাত জেমস মানেই শ্রোতাদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। এবার এই রকস্টার পাড়ি জমাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে টেক্সাসের ডালাস শহরে গাইবেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন।
আগামী ১৪ জুন নগরবাউল মাতিয়ে তুলবেন ডালাসের প্ল্যানো ইভেন্ট সেন্টার। আয়োজকরা বলছেন, এটি হবে বাংলাদেশের কোনো ব্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক এক কনসার্ট।
ইতোমধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিকিটফাইওস.
আয়োজকদের অন্যতম সাজ্জাদুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘ডালাসে এর আগে এত বড় ভেন্যুতে কোনো বাংলাদেশি ব্যান্ড পারফর্ম করেনি। এটি শুধু একটি কনসার্ট নয়, আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভক্তদের জন্য এটি হবে বিরল এক সুযোগ। জেমস নিজেও মুখিয়ে আছেন তাঁর ভরাট কণ্ঠ আর গিটারে ঝড় তুলতে।’ এর আগে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে নগরবাউলের ১০টি কনসার্ট করার কথা থাকলেও ব্যান্ডটির জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে শেষ পর্যন্ত তাদের ২৫টি শো করতে হয়েছিল! এবারের সফরেও এমন কিছু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নগরবাউলের বর্তমান লাইনআপে রয়েছেন ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস (ভোকাল, গিটার), আহসান এলাহি ফান্টি (ড্রামস), সুলতান রায়হান খান (গিটার) ও তালুকদার সাব্বির (বেজ গিটার)। গত কয়েক মাস ধরে দেশ ও দেশের বাইরের কনসার্ট নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন জেমস। ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে একাধিক কনসার্ট করেছেন তিনি। দেশগুলোতে বেশ কয়েকটি কনসার্টের শিডিউল দেওয়া আগামীতেও। ফলে বিদেশের দর্শকদের গান শোনানোর এই ব্যস্ততা সহসাই কাটছে না জেমসের।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসসিসির বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ, বৈষম্যহীনতার বার্তা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বরণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা নগরভবন প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা, পান্তা-ইলিশ উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ডিএনসি। পুরো আয়োজনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের বার্তা ফুটে ওঠে।
সোমবার নববর্ষ বরণে ডিএনসিসির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরো পড়ুন:
সেনাপ্রধানের ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন
‘নতুন আলোয়’ ঐক্যের ডাকে এলো নববর্ষ
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে বৈশাখী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সকাল ৮টায় নগর ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে গোলাপ শাহ মাজার প্রদক্ষিণ করে আবার নগর ভবনে এসে শেষ হয়।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করেন ডিএসসিসি পরিচালিত সংগীত শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষার্থী-প্রশিক্ষকরা।
অনুষ্ঠানে রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, “এই আনন্দ র্যালি আমরা যেমন ধর্ম-বর্ণ, পদবি নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করেছি, ঠিক তেমনি সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব; যেখানে আমরা সবাই সমান অধিকার নিয়ে বাস করব।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিহতদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মাকছুদ জাহেদী।
সোমবার নববর্ষে ডিএনসিসির আনন্দ শোভাযাত্রার এক মুহূর্তে।
ডিএসসিসির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া নগরবাসীকে এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি সবার সহযোগিতায় নগরবাসীকে একটি সুন্দর বছর উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি প্রশাসনিক অঞ্চলের ঐতিহ্য উপজীব্য করে নির্মিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং পান্তা উৎসবে অংশ নেন অতিথিরা। উৎসবে স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান ও সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা এবং সকল বিভাগীয় প্রধানরা অংশ নেন।
ঢাকা/এএএম/রাসেল