ফরিদপুরে তরমুজভর্তি একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন আখ সেন্টারের সামনে ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন মোটরসাইকেলচালক নয়ন শেখ (২২) ও রিকশাচালক শাজাহান শেখ (৫১)। নয়ন শেখের বাড়ি সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরে ও শাজাহানের বাড়ি একই ইউনিয়নের মদনদিয়া গ্রামে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীগামী তরমুজবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলের আরোহী নয়ন শেখ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত রিকশাচালক শাজাহানকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সালাউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে যৌতুকের জন্য নববধূকে হত্যা, শ্বশুর গ্রেপ্তার

ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের যৌতুকের জন্য মারধরের শিকার হয়ে গৃহবধূ মারজান আক্তার ঝুমুর (১৮) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের শ্বশুর সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) ফেনী মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার আলমপুর গ্রামের মারজান আক্তার ঝুমুরের সঙ্গে গত ৮ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী সাইদুর রহমানের। ছেলে বিদেশে থাকায় মোবাইলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছেলে প্রবাস থেকে দেশে আসার পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঝুমুরকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।

বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তিন লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ যৌতুক দাবি করে আসছিল। ঝুমুরের বাবা একজন নির্মাণ শ্রমিক হওয়ায় এ দাবি পূরণ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৪ মার্চ স্বামী সাইদুর রহমান, শ্বশুর সাহাব উদ্দিন ও শাশুড়ি বিবি হাজেরা মিলে তাকে (ঝুমুর) মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে, ঝুমুরের পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে থাকার পর শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলি, নিহত ১

আবরার হত্যা মামলা
২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

নিহতের মা ফরিদা আক্তার বলেন, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ঝুমুর তার স্বামী, শ্বশুর, ও শাশুড়ি তার উপর চালানো নির্যাতনের ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, ‘‘যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে নিহতের শ্বশুর সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, নিহতের স্বামী প্রবাস থেকে ছুটিতে এসেছিলেন। ঘটনার পরপর তিনি আবার প্রবাস চলে গিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’’

নিহতের বাবা আবদুল আলিম স্বামী, শ্বশুর, ও শাশুড়িকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন।

ঢাকা/সাহাব/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ