হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন এ আর রহমান
Published: 16th, March 2025 GMT
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এই সংগীতশিল্পীকে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের সিইও এনডিটিভিকে বলেন, “এ আর রহমান সম্পূর্ণরূপে সুস্থ আছেন। তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।”
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম জানায়, রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করায় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই সংগীতশিল্পীকে। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়।
আরো পড়ুন:
নিষিদ্ধের চিঠির পরই আফগানিস্তানের সিরিজ বাতিল করল আয়ারল্যান্ড
জ্যোতির চমৎকার গায়কি মুগ্ধ করেছে: আসিফ
এ বিষয়ে এ আর রহমানের মুখপাত্র এনডিটিভি-কে বলেন, “গতকাল লন্ডন থেকে ভারতে ফেরার পরই খুব অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। যার ফলে গতকাল রাতেই চেকআপ করানোর জন্য হাসপাতালে যান। চিকিৎসকদের ভাষ্য, ‘রোজা রাখার কারণে পানিশূন্যতা তৈরি হয়েছে।”
খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারান এ আর রহমান। এরপর জীবিকার সন্ধানে কাজে নামতে হয় তাকে। মাত্র ১১ বছর বয়সে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার বিভিন্ন সুরকারের সঙ্গে বাজাতে শুরু করেন রহমান। ২৩ বছর বয়সে সপরিবারে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এ আর রহমান। তার নাম ছিল দিলীপ কুমার।
১৯৯২ সালে তামিল ভাষার ‘রোজা’ সিনেমা দিয়ে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গীলা’ সিনেমার সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে তার বলিউড যাত্রা। ড্যানি বয়েলের ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমার জন্য অস্কার, গ্র্যামি, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নেন এ আর রাহমান।
তা ছাড়াও এ আর রহমানের প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে ভারতের ছয়টি জাতীয় পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ‘পদ্মশ্রী’ (২০০০), ‘পদ্মভূষণ’ (২০১০) প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এ আর রহম ন ন এ আর র
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে যৌতুকের জন্য নববধূকে হত্যা, শ্বশুর গ্রেপ্তার
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের যৌতুকের জন্য মারধরের শিকার হয়ে গৃহবধূ মারজান আক্তার ঝুমুর (১৮) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের শ্বশুর সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) ফেনী মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার আলমপুর গ্রামের মারজান আক্তার ঝুমুরের সঙ্গে গত ৮ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী সাইদুর রহমানের। ছেলে বিদেশে থাকায় মোবাইলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছেলে প্রবাস থেকে দেশে আসার পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঝুমুরকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তিন লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ যৌতুক দাবি করে আসছিল। ঝুমুরের বাবা একজন নির্মাণ শ্রমিক হওয়ায় এ দাবি পূরণ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৪ মার্চ স্বামী সাইদুর রহমান, শ্বশুর সাহাব উদ্দিন ও শাশুড়ি বিবি হাজেরা মিলে তাকে (ঝুমুর) মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে, ঝুমুরের পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে থাকার পর শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলি, নিহত ১
আবরার হত্যা মামলা
২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
নিহতের মা ফরিদা আক্তার বলেন, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ঝুমুর তার স্বামী, শ্বশুর, ও শাশুড়ি তার উপর চালানো নির্যাতনের ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, ‘‘যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে নিহতের শ্বশুর সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, নিহতের স্বামী প্রবাস থেকে ছুটিতে এসেছিলেন। ঘটনার পরপর তিনি আবার প্রবাস চলে গিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’’
নিহতের বাবা আবদুল আলিম স্বামী, শ্বশুর, ও শাশুড়িকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
ঢাকা/সাহাব/বকুল