করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ সিপিডি’র
Published: 16th, March 2025 GMT
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
বর্তমানে একজন করদাতার করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা আরও ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সিপিডি।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। আগামী অর্থবছরের বাজেট সুপারিশ নিয়ে সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। জানুয়ারিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে গত ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ের এ প্রবৃদ্ধি যে কোনো সময়ের তুলনায় কম। এর আগে করোনা অতিমারির পর ২০২১ সালের মে মাসে একবার বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমেছিল। এ ছাড়া বেশির ভাগ সময় প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে ছিল।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ সুদহারের কারণে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন বিনিয়োগ চাহিদা কম। ডলার সংকট কিছুটা কাটলেও এখনও নানা সমস্যা রয়েছে। আবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এর মধ্যে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৭ শতাংশের নিচে নামায় ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল কম। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংকট এখনও কাটেনি। আবার দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যাদের হাতে টাকা রয়েছে, তাদের অনেকেই পলাতক। সব মিলিয়ে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার ১১০ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাস শেষে যা ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা ছিল। বর্তমানের এ প্রবৃদ্ধি গড় সুদহারের অনেক কম। বর্তমানে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার রয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যা ৮ শতাংশের নিচে ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির তথ্য রয়েছে। দীর্ঘ এ সময়ে শুধু ২০২১ সালের মে মাসে একবার ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে নেমেছিল। করোনা-পরবর্তী সময়ে ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ ঋণ প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশে উঠেছিল ২০০৭-০৮ অর্থবছরে। পরের অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হয় ২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। ওই সময় বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নিয়ে অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধসের পর বেসরকারি খাতের ঋণে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও ২০১৯ সালের নভেম্বরের আগ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি সব সময় দুই অঙ্কের ঘরে ছিল। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি কমে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে নেমেছিল।