সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় বেড়ানোর জন্য বিনা মূল্যে নৌকা না পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) নাছির উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে।

কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে ১০ নম্বর ঘাটে গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নৌকা চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান মাঝিসহ সহকারী কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীরা। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যস্ততায় বিষয়টির মীমাংসা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, এ ঘটনায় ওনারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জাবেদ আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুরে ওই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সাদাপাথর ঘাটে যান। বর্তমানে সেখানে খাস কালেকশন নিয়ন্ত্রণ করছে ইউএনও কার্যালয়। গতকাল দুপুরে ঘাটে খাস কালেকশনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি (জাবেদ)। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা সাদাপাথর যাওয়ার জন্য নৌকা চান। তিনি বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করতে হবে বলে জানান। তখন হঠাৎ ওই পুলিশ কর্মকর্তা তেড়ে এসে চড়থাপ্পড় মারেন। পরে ঘাট থেকে একটি নৌকা নিয়ে তিনি সাদাপাথর চলে যান।

কোম্পানীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাছনাত বলেন, নৌকার ঘাটের খাস কালেকশনের জন্য একেক দিন একেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নৌকার সাদাপাথর যাওয়া আসার জন্য ৮০০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত। এর মধ্যে নৌকার মাঝি ও উপজেলার খাস কালেকশনের টাকা। সরকারি কোনো কর্মকর্তা সেখানে গেলে নৌকা নিতে হলে নিয়ম অনুযায়ী ইউএনওকে জানাতে হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ স ক ল কশন কর মকর ত র জন য সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি

লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরে মিয়া রাস্তার মাথা এলাকার লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশ থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। 

এর আগে, শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এসময় নবজাতককে দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই পুলিশ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা হাসপাতালে যান শিশুটির খোঁজ নিতে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসেন।

আরো পড়ুন:

রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু

ছেলে সন্তানের জন্ম দিল ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী

মিয়া রাস্তা এলাকার বাসিন্দা কামাল মাঝি বলেন, “অন্ধকার থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসে। প্রথমে চমকে উঠি। পরে শিশুটিকে কোলে নেই। শিশুটিকে দেখতে মানুষজনও জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা কেউই দেখেননি।”

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, “শিশুটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তাকে দেখবেন। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো বলতে পারবেন।”

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও জামসেদ আলম রানা বলেন, “শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। পরিচয় না মিললে আমরা চট্টগ্রাম শিশু নিবাসে তাকে হস্তান্তর করব। কেউ যদি শিশুটিতে নিতে চান, তাহলে আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিলাম দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ঘর বাড়িতে নিলেন শিক্ষক
  • ১৭ শর্তে সেই বিটি মাঠে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার অনুমতি
  • অনুমতি বাতিল হলেও বৈশাখী মেলা করার ঘোষণা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের
  • হুমকিতে উদ্বিগ্ন ইউএনও, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি
  • লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
  • দিনাজপুরে জাপা নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর ও বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগ