কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জাপানি পদ্ধতির নাম ‘গেইদো’।  এই পদ্ধতিতে সফল হওয়ার প্রথম ধাপ হলো যে কাজটি শিখছেন তার প্রতি মানসিকভাবে প্রতিশ্রুতিশীল হওয়া। ‘গেইদো’র তত্ত্ব অনুসারে, দক্ষতা প্রতিভার ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার ওপর। একই সঙ্গে মনে রাখা দরকার, রাতারাতি সেরা হওয়া সম্ভব নয়। ‘সেরা হওয়া’ একটি গন্তব্যমাত্র, সেই দিকেই যাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়।

গেইদোর তিন ধাপ

প্রতিশ্রুতি: কাজে সফল হতে হলে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যস্থির করতে হবে। তাৎক্ষণিক ফলাফল আশা করা যাবে না।  

আরো পড়ুন:

রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

আছিয়া চলে গেলো, আমরা কি প্রতিবাদ থামিয়ে দেবো?

নম্রতা: আপনি কর্মক্ষেত্রে যে মানুষটির কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছেন, তার কাছে স্বীকার করতে হবে যে আপনি তার থেকে কম পারেন বা কম বোঝেন। কাজে পারদর্শী এবং দক্ষ ব্যক্তির কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। দক্ষ হয়ে উঠুন।

সাহস: লক্ষ্য স্থির করে কাজের দক্ষতা অর্জনের পর মৌলিকতার উপর জোর দিতে হবে। এতে  আপনি কর্মক্ষেত্রে বাকি সবার থেকে আলাদা হতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে তখন আপনি শুধুমাত্র একজন কর্মী নন বরং একং দক্ষ শিল্পী হিসেবে উপস্থাপিত হতে পারেন। 

‘গেইদো’র দর্শন এখন পুরো পৃথিবীতেই ধীরে ধীরে জনপিয়তা লাভ করছে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল হওয়

এছাড়াও পড়ুন:

করমুক্ত আয় সীমা ৪ লাখ টাকা করতে সিপিডির সুপারিশ

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে এই সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক মুনতাসীর কামাল উপস্থিত ছিলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, “জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এছাড়া, শহরের চেয়ে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। এটি বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা উচিত।”

তিনি বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৭-৮ শতাংশে এ নামিয়ে আনার যে পরিকল্পনার কথা বলেছে, সেটি অর্জন করা অসম্ভব হবে।”

ফাহমিদা খাতুন বলেন, “রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ে একটা ভারসাম্য রয়েছে। আগের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। এছাড়া ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ৩.৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে মাইগ্রেশনের হার কমেছে।”

তিনি বলেন, “সীমিত আয়, সুবিধাবঞ্চিত এবং দুর্বল গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করতে আগামী দিনগুলোতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। আর তা রাজস্ব এবং ব্যয় উভয় ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”

তিনি আরো বলেন, “মূল্যস্ফীতির এই সময়ে সরকারি ব্যয় কাঠামোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ক্রমাগত উচ্চ ব্যয়ের বিষয়টিও মোকাবিলা করা উচিত। উচ্চ মূল্যস্ফতির এই সময়ে ক্ষুদ্র কৃষক এবং নিম্ন বা সীমিত আয়ের পরিবারগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। বিশেষ করে নারী, যুবক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আর এমন পেক্ষাপটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে সিপিডি।”

ঢাকা/এনএফ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ