পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষুধার্ত শকুনটি দুর্বল হয়ে একটি গাছ থেকে পড়ে ঝিমাচ্ছিল।

গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের বাংলাবান্ধা বাজার থেকে স্থানীয় লোকজন শকুনটিকে উদ্ধার করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা শকুনটি উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া ইকো পার্কে নিয়ে আসেন। সেখানে খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.

বুলবুল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাবান্ধা বাজারে একটি কাঠবাদাম ও একটি কাঁঠালগাছ পাশাপাশি আছে। সেখানে দুপুরে একটি গাছ থেকে আকস্মিকভাবে বড় আকারের একটি পাখি মাটিতে পড়তে দেখে ভিড় করে স্থানীয় লোকজন। এটি শকুন বলে বুঝতে পেরে আটকে রেখে তেঁতুলিয়া উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে শকুনটিকে নিয়ে যান।

আজ রোববার সকালে বন বিভাগের তেঁতুলিয়া উপজেলা বিট কর্মকর্তা নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘উদ্ধার করার পর শকুনটি আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। শকুনটিকে দেখে হিমালিয়ান গৃধিনি প্রজাতির বলে মনে হচ্ছে। এটি প্রাপ্তবয়স্ক, ওজন ১৫ কেজির ওপর হতে পারে। খাবারের সন্ধানে ভারত থেকে শকুনটি বাংলাদেশে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষুধার্ত শকুনটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। উদ্ধারের পর শকুনটিকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এখন এটি অনেকটা সুস্থ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী শকুনটি পরে অবমুক্ত করা হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র কর মকর ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

করমুক্ত আয় সীমা ৪ লাখ টাকা করতে সিপিডির সুপারিশ

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে এই সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক মুনতাসীর কামাল উপস্থিত ছিলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, “জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এছাড়া, শহরের চেয়ে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। এটি বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা উচিত।”

তিনি বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৭-৮ শতাংশে এ নামিয়ে আনার যে পরিকল্পনার কথা বলেছে, সেটি অর্জন করা অসম্ভব হবে।”

ফাহমিদা খাতুন বলেন, “রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ে একটা ভারসাম্য রয়েছে। আগের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। এছাড়া ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ৩.৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে মাইগ্রেশনের হার কমেছে।”

তিনি বলেন, “সীমিত আয়, সুবিধাবঞ্চিত এবং দুর্বল গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করতে আগামী দিনগুলোতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। আর তা রাজস্ব এবং ব্যয় উভয় ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”

তিনি আরো বলেন, “মূল্যস্ফীতির এই সময়ে সরকারি ব্যয় কাঠামোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ক্রমাগত উচ্চ ব্যয়ের বিষয়টিও মোকাবিলা করা উচিত। উচ্চ মূল্যস্ফতির এই সময়ে ক্ষুদ্র কৃষক এবং নিম্ন বা সীমিত আয়ের পরিবারগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। বিশেষ করে নারী, যুবক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আর এমন পেক্ষাপটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে সিপিডি।”

ঢাকা/এনএফ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ