হঠাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রাহমানকে। রোববার সকালে তাঁকে চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন এই সংগীতশিল্পী। কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ মুহূর্তে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তাঁর শরীরে এনজিওগ্রাম করার প্রক্রিয়া চলছে। হাসপাতালের বুলেটিনের অপেক্ষায় সবাই। উদ্বিগ্ন রাহমানের অনুরাগীরা। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন এ আর রাহমান। সেখান থেকে ফেরার পরই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। শিল্পীর মুখপাত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, লন্ডন থেকে ফেরার পর বুকে ব্যথা অনুভব করায় তিনি হাসপাতালে চেকআপ করাতে পৌঁছান। সেখানে ইসিজি করা হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন এ আর রাহমান। অবশ্য আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন রাহমান। তারপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যান তিনি।

মুখপাত্র এ–ও জানিয়েছেন, রমজান মাস উপলক্ষে রোজা রাখছেন শিল্পী।

এ আর রাহমানের অসুস্থতার খবর পেতেই খোঁজ নেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘যখনই আমি খবর পেলাম যে আমাদের সংগীত কিংবদন্তি এ আর রাহমান অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তখনই আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিই। তাঁরা বলেছেন যে তিনি বর্তমানে ভালো আছেন এবং শিগগিরই বাড়ি ফিরে আসবেন।’

সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এ আর রাহমানের সাবেক স্ত্রীকেও। একটি অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। গত বছর আচমকাই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। টানা ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানেন তাঁরা। এ ঘোষণায় বিমর্ষ হয়েছিলেন অনুরাগীরা। দম্পতির আইনজীবীও জানিয়েছিলেন, তাঁরা বুকে পাথর রেখেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচ্ছেদের পর মন ভার করা পোস্ট করেছিলেন সুরকারও। দীর্ঘ দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার পরও দুজনেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি ও স্থিতি খুঁজে নিতে চেষ্টা করছেন। তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা থামেনি, বরং তা আজও অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগিয়ে রাখে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ধর্ষণ’ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার

‘ধর্ষণ’ শব্দ পরিহার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। রবিবার (১৬ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ষণ শব্দটি পরিহার নিয়ে ডিএম‌পি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আট বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী, যার সঙ্গেই হোক না কেন—ধর্ষণ ধর্ষণই। এমন জঘন্য অপরাধকে অবশ্যই যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।

উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদকর্মীদের সংবাদ প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ শব্দটি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ