Samakal:
2025-04-15@11:08:11 GMT

হামজাদের বরণে প্রস্তুত শিলং

Published: 16th, March 2025 GMT

হামজাদের বরণে প্রস্তুত শিলং

পাহাড়ঘেরা চারপাশ, মাঝে আধুনিক ঝাঁ চকচকে স্টেডিয়াম। স্থানীয়দের কাছে একসময় এই মাঠের নাম ছিল পোলো গ্রাউন্ড। হয়তো ব্রিটিশ আমলে এখানে ঘোড়ার পিঠে চেপে পোলো খেলা খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু গত দশকের শুরু থেকেই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পোলো গ্রাউন্ডেই বসানো হয় অ্যাস্ট্রোটার্ফ, দোতলা গ্যালারির কিছু অংশে রাখা হয় ছাদ। হাজার পনেরো দর্শকের এই মাঠটির নামকরণ করা হয় জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। তখন থেকেই স্থানীয় শিলং প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে দর্শকদের আগ্রহে গত কয়েক বছর ধরে সেখানে আই লিগের নিয়মিত ম্যাচও হচ্ছে। তবে কোথায় গিয়ে যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ মিলছিল না শিলংয়ের। পূর্বাঞ্চলে কলকাতার মাঠেই শুধু ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচ রাখা হতো। তবে এবার নাকি কলকাতায় অনাগ্রহ ছিল বাংলাদেশের। তাই শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ রেখেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আর ম্যাচটি ঘিরেই এই মুহূর্তে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে শিলং। সেখানকার দৈনিক শিলং টাইমসের খবর, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘিরে প্রস্তুত রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। এরই মধ্যে শহরটিতে পৌঁছে গেছে ভারতীয় দল।

আজ সেখানে মালদ্বীপ দলের পৌঁছানোর কথা। আসলে বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফসি বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতেই মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ভারত। আর ১৯ মার্চ সেই ম্যাচটি দিয়েই ওই স্টেডিয়ামে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ দুটি নিয়ে নাকি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। 

মেঘালয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামেলস্টন দোলিং জানান, ‘এই অঞ্চলের মানুষের কাছে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের খেলা দেখার সুযোগ এসেছে। ম্যাচ দুটি ঘিরে তারা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।’ 

দর্শকদের মাঝে টিকিটের চাহিদা যা, তা হয়তো পূরণ করতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই ফুটবল কর্মকর্তা। ২০ মার্চ বাংলাদেশ দল সেখানে পৌঁছানোর কথা। দোলিং জানান, তারা বাংলাদেশ দলকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ম্যাচ দুটিতে শিলংবাসীর অন্যতম আগ্রহের জায়গায় সুনীল ছেত্রির অবসর ভেঙে ফেরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ দলে ইংলিশ ক্লাবে খেলা হামজা চৌধুরীর খেলা দেখার অপেক্ষাতেও রয়েছেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনার সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না: খোদা বখস চৌধুরী

‘মডেল মেঘনা আলমের সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে, বিষয়টা তা নয়। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আদালতে গেছে। বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বলেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তা নয়। তারা আদালতে গেছেন। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আদালতকে জবাব দেব।

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটা সঠিক হয়নি বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, আরেক সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুলে ধরে খোদা বখস চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন- আইন উপদেষ্টা কোনও প্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন, তা আমরা জানি না। তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি। এখন বিষয়টি আদালতে চলে গেছে।

১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জে আপনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, জনগণ এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়, কোন পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছিলেন- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটা জনগণ বলেছে। সরকার তো বলে দিয়েছে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি রাজনীতিবিদ নই। আমার এই কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।

ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশের পদগুলোতে যাবে, আসবে এটাই নিয়ম। মেঘনা আলমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সরানো হয়নি। উনি হয়তো অসুস্থ আছেন, সে জন্য তাকে সরানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেল, পুলিশ এখনো দায়িত্ব পালন করছে না, জনগণের অভিযোগ নিচ্ছে না এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ নেয় না, এটা আজকের অভিযোগ নয়। বহু পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিষয় অনলাইনে করতে যাচ্ছে। এক, জেনারেল ডায়েরি (জিডি), দুই, এফআইআর বা অভিযোগপত্র। প্রথমে দুটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি নেওয়া শুরু হবে। পরে এফআইআর নেওয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে একটা স্থায়ী সমাধান হবে।

জুলাই আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ধরছেন চুনোপুঁটিদের, রাঘববোয়ালদের ধরছেন না, এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তাদের জালে আসতে হবে। রাঘববোয়ালরা জালে আসার পর যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আপনারা অভিযোগ করতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ