বরিশালে গণপিটুনিতে শিশু নিপীড়নে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু
Published: 16th, March 2025 GMT
বরিশাল নগরীতে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত সুজন নামে এক যুবক স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যার পর সুজন নগরীর ধান গবেষণা রোড এলাকায় গণপিটুনির শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গণপিটুনিতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে সুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক শিশুর বাবা ।
ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিশুটি একটি রান্নার পাত্র ফেরত দিতে প্রতিবেশী সুজনের ঘরে যায়। এসময় ঘরে একা থাকা সুজন ওই শিশুকে ধর্ষণের চেস্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সুজন দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা কোতয়ালী মডেল থানায় সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর পুলিশ ওই এলাকায় তদন্তে যায়। পুলিশ তদন্তে আসার খবরে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দিতে সুজনকে আটক করে রাখে। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় সুজন। এ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পরই সুজন মারা যায়।
সুজনের স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন সুজনের স্বজনরা।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মানিক সাহা বলেন, “নিহতের লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিশুর বাবার করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায়ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কেউ আটক হননি।”
ঢাকা/পলাশ/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণপ ট ন ত স জন র বর শ ল ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০, থানায় অভিযোগ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় তাদের চালানো হামলায় আরো ১০জন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত শনিবার রাতে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা নাফিজের বাবা মো. বুলবুল আহাম্মেদ রবিবার (১৬ মার্চ) আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন
মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে আস্কর বাজারে বাগধা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিজ আহম্মেদকে দেখতে পেয়ে হামলা চালায় যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী সুধাংশু অধিকারী, নয়ন বিশ্বাস, পাপন বিশ্বাসসহ ৩০-৪০ জন। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাফিজকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় ছাত্রদল নেতারা নাফিজকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে স্বপন মোল্লা ও শিপন হাওলাদারসহ ১০ জনের ওপর যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় তারা আহত হন।
পরে গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা নাফিজের বাবা মো. বুলবুল আহাম্মেদ বলেন, “আমি বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো মামলাসহ তিনটি মামলা হয়। আমি বাড়িতে থাকতে পারিনি। এখন আমার ছেলে ছাত্রদল করার কারণে তার ওপর শনিবার রাতে আস্কর বাজারে হামলা করেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০-৫০জনকে অভিযুক্ত করে আগৈলঝাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো.আলিউল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ