কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘরের ভেতরে আগুনে পুড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরীর নাম মুন্নি আক্তার। সে ওই এলাকার খোরশেদ আলমের মেয়ে। স্থানীয় শাপলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল মুন্নি।

নিহত মুন্নির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে শোবার ঘরের খাটের নিচে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে ছিল ওই কিশোরী। এ অবস্থায় তার মা তাকে ঘরে রেখে দরজায় তালা দিয়ে পানের বরজে কাজ করতে যান। মুন্নির ভাইবোনেরাও মায়ের সঙ্গে ছিল। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ঘরটিতে আগুন লাগে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা পানি ছুড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর একপর্যায়ে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আগুনে দগ্ধ কিশোরী মুন্নির লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত কিশোরীর লাশ পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিবারের অসচেতনতার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিটি ব্যাংক শাখায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কুল ব্যাংকিং চালু করতে হবে

সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংক শাখাকে নিকটবর্তী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্কুল ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নিয়মিত ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানে আর্থিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি হিসাব খোলা ও লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। আজ এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামীকাল বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

স্কুল ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অধিকতর সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করা এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংক শাখার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার নীতি গ্রহণ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংককে তাদের প্রতিটি শাখার নিকটবর্তী কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং সেবা–সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ নীতির আওতায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে। সেগুলো হলো জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে প্রতিটি ব্যাংককে নিকটবর্তী শাখার মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি সেই ব্যাংক শাখা থেকে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা/পরিষেবা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের বিষয়ে ব্যাংকগুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে, যেন এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক ব্যাংক যুক্ত না হয়। হিসাব খোলা ও পরিচালনা, আর্থিক শিক্ষা এবং এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা আর প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা/উপজেলার স্কুল ব্যাংকিং–সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাংক শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অবহিত করবে এবং প্রতিবেদন দেবে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি (ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থী হিসাবের সংখ্যা, লেনদেনের পরিমাণ ও আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণসহ) সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিয়মিত ভিত্তিতে তথ্য জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ১০ হাজারের বেশি ব্যাংক শাখা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে চার লাখের বেশি। প্রাথমিক ভিত্তিতে একটি করে স্কুল নির্বাচন করে কাজ শুরু করা হবে। এতে আর্থিক শিক্ষা ধীরে ধীরে বাড়বে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যপূরণে তা সহায়তা করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ