সেই পঙ্খিরানি এখন সরকারি ভিআইপি চিকিৎসা পাচ্ছে
Published: 16th, March 2025 GMT
পঙ্খিরানির পিঠে চড়ে একসময় আনন্দ পেত মানুষ। জনপ্রতি ২০ টাকা করে পেতেন পঙ্খিরানির মালিক মো. শরীফ। তবে ৪ মার্চ রাতে খামারে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে পঙ্খিরানি। কিছু অংশে দগদগে ঘা হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা গেল, সরকারি চিকিৎসক পঙ্খিরানির জন্য ব্যবস্থাপত্র লিখছেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ কেউ ড্রেসিং করছেন। খাওয়ার স্যালাইন আনা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে সবুজ ঘাসের। মালিক মো.
এই পঙ্খিরানি একটি ঘোড়ার নাম। ঘোড়াটি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। পঙ্খিরানির দুর্দশা দেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে মৌখিক নির্দেশনা পেয়ে ভেটেরিনারি চিকিৎসকেরা এসেছেন। গতকাল ঘোড়াটিকে ভিআইপি চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা গেল, সরকারি চিকিৎসক পঙ্খিরানির জন্য ব্যবস্থাপত্র লিখছেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ কেউ ড্রেসিং করছেন। খাওয়ার স্যালাইন আনা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে সবুজ ঘাসের।৪ মার্চের পর থেকে ঘোড়াটিকে ফেলে রাখা হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের মাঠে। প্রথম দিকে মালিকও পাওয়া যাচ্ছিল না। ভাইরাল হওয়ার পর মালিকের খোঁজ পাওয়া গেছে। মালিক মো. শরীফ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের কাছেই থাকেন। পঙ্খিরানির পিঠে মানুষ চড়িয়ে ব্যবসা করতেন; পাশাপাশি তিনি লেগুনা চালান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পঙ্খিরানির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। ঢাকা, ১৫ মার্চউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।
রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।
সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।