নতুন শুরুর আশায় দলে বড় পরিবর্তন এনেছিল পাকিস্তান। বাদ পড়েছিলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো তারকারা। কিন্তু পরিবর্তিত স্কোয়াড নিয়ে শুরুটা মোটেও শুভ হলো না। হ্যাগলি ওভালে রোববার অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে পাকিস্তান। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

অভিজ্ঞতা-ঘাটতির পাকিস্তান দল শুরুতেই ভেঙে পড়ে। মাত্র ১১ রানেই টপঅর্ডার গুঁড়িয়ে যায়। খুশদিল শাহ (৩২), সালমান আগা (১৮) ও জাহানদাদ খান (১৭) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাকিস্তানের এটি সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাজনক রেকর্ড—আগের সর্বনিম্ন ছিল ১০১ রান।

নিউজিল্যান্ডের বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এই ধস নেমেছে। জ্যাকব ডাফি মাত্র ৩.

৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। কাইল জেমিসন ৪ ওভারে ৮ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট, তিনিই হন ম্যাচসেরা। ব্যাট হাতে লক্ষ্য তাড়ায় ঝড় তুলে দেয় কিউই ওপেনাররা। টিম শেইফার্ট (৪৪) ও ফিন অ্যালেন (২৯*) মিলে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। টিম রবিনসন যোগ করেন ১৮ রান। মাত্র ১০.১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নতুনভাবে শুরু করতে গিয়ে ৯১ রানে অলআউট পাকিস্তান

২.২ ওভারে ১/৩। এরপর ১৮.৪ ওভারে ৯১/১০!

পাকিস্তানের নতুন শুরুর এই দশা! বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুন যুগের সূচনা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। সেটা করার পথে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল দলটি।  

ক্রাইস্টচার্চে আজ টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সালমান আগার দল গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯১ রানে। যা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন। নিউজিল্যান্ড এই রান তাড়া করেছে ৯ উইকেট আর ৫৯ বল হাতে রেখে। তাতে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে কিউইরা।

টি–টোয়েন্টির মেজাজ অনুসারে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেন না বলে বাবর ও রিজওয়ানকে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে রাখা হয়নি। এই দুজনের জায়গায় আজ ওপেন করেন মোহাম্মদ হারিস ও অভিষিক্ত হাসান নওয়াজ। তিন নম্বরে উইকেটে আসেন অধিনায়ক সালমান।

নতুন রূপের এই ব্যাটিং লাইনআপ শুরুতেই কাইল জেমিসন ও জ্যাকব ডাফির তোপের মুখে পড়ে। প্রথম ২.২ ওভারে ১ রান তুলতেই যায় ৩ উইকেট। দুই ওপেনারই ফিরেছেন শূন্য হাতে। পাওয়ার প্লেতে উঠেছে ৪ উইকেটে ১৪ রান।

অধিনায়ক সালমান খেলেন ওয়ানডে মেজাজে ২০ বলে ১৮ রানের ইনিংস। অবশ্য তিনি আর কী করতে পারতেন! যেভাবে অন্য প্রান্ত থেকে একের পর উইকেট পড়েছে, তাতে ধরে খেলার চেষ্টাকেই যথাযথ মনে করেছেন তিনি। সেটিও টিকেছে ২০ বল পর্যন্ত।

রান করেছেন শুধু খুশদিল শাহ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের সেরা পারফর্মার খুশদিল আজ করেছেন ৩০ বলে ৩২। তাঁর এই ইনিংস ও জাহানদাদ খানের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে ১০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছায় পাকিস্তান। ডাফি উইকেট নিয়েছেন ১৪ রানে ৪টি, জেমিসন ৮ রানে ৩টি।

এত ছোট পুঁজি নিয়ে আর যা–ই হোক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়! আইপিএলে কারণে বড় তারকারা এই সিরিজটি না খেললেও নিউজিল্যান্ড দলে ফিন অ্যালেন ও টিম সাইফার্ট, মার্ক চ্যাপম্যানের মতো পরীক্ষিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার আছেন। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার সাইফার্ট ও অ্যালেন ৫.৫ ওভারে ৫৩ রান তুলে ফেলেন। এরপর সাইফার্ট ৪৪ রান করে ফিরলেও অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ রানে রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ১৮ মার্চ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৮.৪ ওভারে ৯১ (খুশদিল ৩২, জাহানদাদ ১৭; ডাফি ৪/১৪, জেমিসন ৩/৮)।
নিউজিল্যান্ড: ১০.১ ওভারে ৯২/১ (সাইফার্ট ৪৪, অ্যালেন ২৯*; আবরার ১/১৫)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: কাইল জেমিসন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুনভাবে শুরু করতে গিয়ে ৯১ রানে অলআউট পাকিস্তান
  • ২৬ বলে ফিফটি এনামুলের, অমিতের ব্যাটে ৮৮ রান