এমবাপ্পের জোড়া গোলে বার্সাকে টপকে শীর্ষে রিয়াল
Published: 16th, March 2025 GMT
প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও শেষ হাসি হাসল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এই জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে টপকে লা লিগার শীর্ষে উঠে গেছে দলটি। তবে বার্সা এখনো দুটি ম্যাচ কম খেলেছে। তাই আগামী রোববার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তাদের ম্যাচে আবারও পয়েন্ট ব্যবধান কমে আসতে পারে। ফলে শিরোপা দৌড় আরও জমে উঠবে।
মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাটলেটিকো বিপক্ষে টাইব্রেকারে জেতা রিয়াল এই ম্যাচের সময়সূচি নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ জানিয়েছিল। ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও কার্লো আনচেলত্তির দল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এমবাপ্পে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। কর্নার থেকে বল রিবাউন্ড হয়ে হুয়ান ফয়েথের কাছে গেলে তিনি কাছ থেকে জালে বল পাঠিয়ে দেন। তবে বেশি সময় লাগেনি সমতা ফেরাতে—১৭ মিনিটে এমবাপ্পে গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান। ব্রাহিম দিয়াজের শট থেকে ফিরতি বলে গোলটি করেন ফরাসি তারকা। এরপর লুকাস ভাসকেজের ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। এটি ছিল লা লিগায় তার ২০তম গোল, যা তাকে শীর্ষ গোলদাতা রবার্ট লেভান্ডভস্কির (২১ গোল) খুব কাছে নিয়ে এসেছে।
এই জয়ে আপাতত রিয়াল শীর্ষে থাকলেও শিরোপা লড়াই এখনও পুরোদমে বেঁচে রয়েছে। বার্সার হাতে থাকা দুটি ম্যাচ নির্ধারণ করবে লিগের চূড়ান্ত চিত্র।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে সাড়ে ৫৫০ বছরের পুরোনো মসজিদে নামাজে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চৌরগাছা গ্রামে আছে কয়েক শ বছরের পুরোনো মসজিদ। এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা একনজর মসজিদটি দেখতে আসেন।
মসজিদ চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি সাইনবোর্ড আছে। সেখানে দেওয়া তথ্যমতে, এটি প্রায় ৫৫০ বছর আগের তৈরি মসজিদ। মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন এ শুরা মসজিদ। এটি দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। সুলতানি আমলের এ মসজিদের নির্মাণকাল নিয়ে আছে নানা জনশ্রুতি। এ মসজিদকে কেউ সৌর মসজিদ, কেউ শুরা মসজিদ, আবার কেউ শাহ সুজা মসজিদ নামে চেনেন।
জনশ্রুতি আছে, জিনেরা এক রাতের মধ্যে মসজিদটি তৈরি করেছেন। তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এটি ষোড়শ শতকের গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলের (১৪৯৩-১৫১৮) নিদর্শন। আর এ তথ্যই এলাকার বেশির ভাগ মানুষের কাছে বেশি স্বীকৃত।
চার ফুট উচ্চতার মজবুত প্ল্যাটফর্মের ওপর চুন-সুরকি, ইট আর কালো পাথরের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদের অবকাঠামো। মসজিদের দেয়ালে অসংখ্য খোপকাটা মৌলিক টেরাকোটার অলংকরণ। মসজিদটি প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। পশ্চিমাংশে নামাজকক্ষ আর নামাজের কক্ষের পূর্ব পাশে বারান্দা। মসজিদের ওপর বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট নামাজকক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি বারান্দা আছে।
মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি করে খিলানকৃত প্রবেশপথ আছে। বারান্দার উভয় পাশে আছে একটি করে প্রবেশপথ। এর ভেতরের অংশে কিবলা দেয়ালে আছে পাথরের তৈরি অলংকৃত কারুকাজে ৩টি অবতল মিহরাব। আর বাইরে দেয়ালের গায়ে দুই সারি ইটের প্যানেল নকশা। মসজিদের ভেতর-বাইরের দেয়াল এবং মিহরাবে অলংকৃত আছে ফুলের টেরাকোটা, যা সমসাময়িক সুলতানি আমলের মসজিদ স্থাপত্যে দেখা যায়।
গাইবান্ধা জেলা থেকে শুরা মসজিদ নামাজ পড়তে এসেছেন সরকারি চাকরিজীবী মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘শুনেছি, প্রতি শুক্রবার দূরদূরান্ত থেকে এখানে লোকজন আসেন। তাঁরা বিভিন্ন মানত করতে আসেন। আমারও ইচ্ছা, বিরল কৃতিত্বের এই মসজিদে নামাজ পড়ব; নিজের জন্য, আত্মীয়স্বজন ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করব।’
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, মসজিদটি ষোড়শ শতকের গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলের নিদর্শন