প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও শেষ হাসি হাসল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এই জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে টপকে লা লিগার শীর্ষে উঠে গেছে দলটি। তবে বার্সা এখনো দুটি ম্যাচ কম খেলেছে। তাই আগামী রোববার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তাদের ম্যাচে আবারও পয়েন্ট ব্যবধান কমে আসতে পারে। ফলে শিরোপা দৌড় আরও জমে উঠবে।

মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাটলেটিকো বিপক্ষে টাইব্রেকারে জেতা রিয়াল এই ম্যাচের সময়সূচি নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ জানিয়েছিল। ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও কার্লো আনচেলত্তির দল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এমবাপ্পে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যায় ভিয়ারিয়াল। কর্নার থেকে বল রিবাউন্ড হয়ে হুয়ান ফয়েথের কাছে গেলে তিনি কাছ থেকে জালে বল পাঠিয়ে দেন। তবে বেশি সময় লাগেনি সমতা ফেরাতে—১৭ মিনিটে এমবাপ্পে গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান। ব্রাহিম দিয়াজের শট থেকে ফিরতি বলে গোলটি করেন ফরাসি তারকা। এরপর লুকাস ভাসকেজের ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। এটি ছিল লা লিগায় তার ২০তম গোল, যা তাকে শীর্ষ গোলদাতা রবার্ট লেভান্ডভস্কির (২১ গোল) খুব কাছে নিয়ে এসেছে।

এই জয়ে আপাতত রিয়াল শীর্ষে থাকলেও শিরোপা লড়াই এখনও পুরোদমে বেঁচে রয়েছে। বার্সার হাতে থাকা দুটি ম্যাচ নির্ধারণ করবে লিগের চূড়ান্ত চিত্র।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর ধরে অসহায়দের সাহ্‌রি খাওয়াচ্ছেন মাহাবুব

দীর্ঘ সাত বছর ধরে অসহায়দের মধ্যে মাসব্যাপী সাহ্‌রির খাবার বিতরণ করছেন পাবনার তহুরা-আজিজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান মাহাবুব। মা-বাবার নামে শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লায় পৈতৃক জায়গায় ফাউন্ডেশনটি গড়ে তুলেছেন তিনি। সেখানে বছরজুড়ে নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। 
তহুরা-আজিজ ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১ সালে। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির সময়ে সাহ্‌রির খাবার বিতরণ শুরু করেন তারা। প্রথম বছর প্রতিদিন ৩৫ প্যাকেট খাবার বিতরণ দিয়ে শুরু করে এখন ৩০০ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের এ উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা নেই বললেই চলে। পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধবের সহায়তা ও নিজেদের অর্থে তারা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। 
এই খাবারের সবচেয়ে বড় সুফলভোগী জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগী ও তাদের স্বজন। এ ছাড়া পৌর এলাকার মা-শিশু হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ আটটি স্থানে অপেক্ষারত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এসব খাবার। দিনমজুর থেকে শুরু করে শ্রমিক, ভিক্ষুক, ভ্যান-রিকশা-অটোচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ খাবার নেন। 
নিজ বাড়ির আঙিনায় ইটের চুলায় রান্না হয় সাহ্‌রির খাবার। মাহাবুব নিজেই তাঁর সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সামলান রান্নার সব আয়োজন। এর পর চলে প্যাকেট করে অসহায়দের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার পালা। রমজান মাসে এভাবেই কেটে যায় তাদের রাত। বর্তমানে প্রতিদিন খাবার তৈরিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাহাবুব। বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিজ পরিবারের সদস্যদের দেওয়া অর্থ এবং সমাজের কিছু বিত্তবান মানুষের জাকাত-ফিতরা থেকে হচ্ছে এই খরচের জোগান। 
সাহ্‌রি বিতরণ নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা জানান, মানবসেবার এই কাজ বিনা পারিশ্রমিকেই করছেন তারা। কাজের সঙ্গে জড়িতরা এ কাজে আত্মতৃপ্তির কথা জানান। 
দেওয়ান মাহাবুব সমকালকে বলেন, পৈতৃক জায়গা আমরা ফাউন্ডেশনের নামে দান করেছি। এ কাজে, বিশেষ করে আমার বাবার সহযোগিতা অনেক। অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার ইচ্ছা থেকেই কাজগুলো করছি। যতদিন বেঁচে থাকব, সুস্থ থাকব, মানবসেবার কাজ করে যাব। 
তবে ফাউন্ডেশনের জায়গায় যদি আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হতো, তাহলে শুধু রমজান নয়, পুরো বছর দরিদ্র-অসহায় মানুষকে সেবা দেওয়া যেত। এ কাজে সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থা এগিয়ে এলে সমাজের অসহায় মানুষের সেবা পাওয়া আরও সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ