জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদ্রাসায় ১২ ও ১৩ বছর বয়সী দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রায় আড়াই ঘণ্টা মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে রাখে।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই ছাত্র ওই মাদ্রাসার আবাসিকে থাকে। কয়েক দিন আগে পর্যায়ক্রমে তাদের দুজনকে ওই শিক্ষক ধর্ষণ করেন—এমন অভিযোগ তোলেন স্বজনেরা। ছাত্রদের স্বজনেরা বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানান। স্থানীয় লোকজন গতকাল রাতে ওই মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন। ধীরে ধীরে লোকজন বাড়তে থাকে। তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মাদ্রাসায় ওই শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যান।

স্থানীয় লোকজন জানান, ওই শিক্ষক প্রায় দুই থেকে তিন মাস ধরে ওই ছাত্রদের ধর্ষণ করে আসছিলেন। আজ (গতকাল) বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এরপর স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। লোকজন ব্যাপক উত্তেজিত ছিল। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। লোকজন শিক্ষকের বিচারের দাবিতে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। অনেক কষ্টে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে বুঝিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স থ ন য় ল কজন পর স থ ত শ ক ষকক গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

সরিষাবাড়ীতে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা ঘেরাও, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদ্রাসায় ১২ ও ১৩ বছর বয়সী দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রায় আড়াই ঘণ্টা মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে রাখে।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই ছাত্র ওই মাদ্রাসার আবাসিকে থাকে। কয়েক দিন আগে পর্যায়ক্রমে তাদের দুজনকে ওই শিক্ষক ধর্ষণ করেন—এমন অভিযোগ তোলেন স্বজনেরা। ছাত্রদের স্বজনেরা বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানান। স্থানীয় লোকজন গতকাল রাতে ওই মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন। ধীরে ধীরে লোকজন বাড়তে থাকে। তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মাদ্রাসায় ওই শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যান।

স্থানীয় লোকজন জানান, ওই শিক্ষক প্রায় দুই থেকে তিন মাস ধরে ওই ছাত্রদের ধর্ষণ করে আসছিলেন। আজ (গতকাল) বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এরপর স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। লোকজন ব্যাপক উত্তেজিত ছিল। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। লোকজন শিক্ষকের বিচারের দাবিতে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। অনেক কষ্টে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে বুঝিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ