কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়া ফেলেছে ১০ টাকার ইফতারি
Published: 16th, March 2025 GMT
আমাদের এ অঞ্চলে ইফতার মানেই খেজুর, মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি...। মোটামুটি মানের একটা ‘ইফতারি প্যাকেজ’ সাজাতে গেলেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা লেগেই যায়। সেখানে ১০ টাকায় ইফতারি, তা শুনতে একটু অবাকই লাগে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মিরাজ কিন্তু এই অবাক করা কাজটাই করছেন। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ ইফতারির প্যাকেট।
কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? পেছনের ভাবনাটাই–বা কী ছিল? মিরাজ বলেন, ‘১০ টাকায় ইফতারি বিক্রির উদ্যোগটা আমার মাথায় আসে ক্যাম্পাসের নিম্নমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে। তাদের পক্ষে প্রতিদিন বাইরে থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকার ইফতারি কিনে খাওয়া কঠিন। আমি নিজেও ভুক্তভোগী। বাইরের দোকানগুলোয় ১০ থেকে ২০ টাকার ইফতারি কিনতে অনেক সময় সংকোচ হয়। আবার বিনা মূল্যে দিলেও কেউ সংকোচ বোধ করতে পারে। তাই আমি ফ্রিতে না দিয়ে ১০ টাকা করে রাখি। অর্থাৎ ৫০ থেকে ৬০ টাকার ইফতারির প্যাকেটই ১০ টাকায় বিক্রি করি।’
কাজী মিরাজের বাড়ি গাইবান্ধা। ছোটবেলা থেকেই সেবামূলক কাজে তাঁর ঝোঁক। মানুষের উপকার করতে পারলে তৃপ্তি পান। তাই নিজের সাধ্যমতো কিছু করার চেষ্টা করেছেন সব সময়। সেই চেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও থামেনি। গত পবিত্র রমজান মাসে প্রথমবারের মতো এই কার্যক্রম শুরু করেন মিরাজ। তবে প্রথম দিকে একরকম দ্বিধায় ছিলেন, আদৌ এটি কাজে আসবে কি না। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় সাড়া দেখে কাজে আরও বেশি আগ্রহ পান মিরাজ।
শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় সাড়া দেখে কাজে আরও বেশি আগ্রহ পান মিরাজ।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ক র ইফত র ১০ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে: আফরোজা আব্বাস
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন,এই ধর্ষক নরপশুদের দুই একটি বিচার না হলে তারা আসলে কখনো মানুষ হবে না। ধর্ষণের শিকার হয়ে আসিয়া যে মারা গেল, নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আছিয়া হত্যাকারীর খুব দ্রুত জনসমক্ষে বিচার যদি হয়ে যেত তাহলে পরপর এরকম ধর্ষণের ঘটনা ঘটত না, যেটা কিনা শেরপুর, ময়মনসিং সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ড আটিগ্রাম এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্তির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু তামান্না আক্তার কে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সব কথা বলেন। সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয় তামান্নার পরিবারকে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, যুগ্ন আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সদস্য মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যমে দেখেছেন, দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তামান্নার পরিবারের পাশে আছে তারেক রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। তাই আজকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এখানে আসা।
তিনি বলেন, এসব ধর্ষণের কারণে তৎকালীন প্রশাসন দায়ী। শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে। গণধর্ষণের কোন বিচার হয়নি, গণধর্ষণের বিচার না করে বরঞ্চ তাদের পুরস্কৃত করা হতো। সেই কারণেই দিনে, দিনে এই ধর্ষণ বেড়ে গেছে।
আফরোজা আব্বাস আরো বলেন,বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন নারায়ণগঞ্জের রিমা কে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মনিরকে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল সেই রকম ভাবে দুই একটা বিচার যদি হতো তাহলে নারীরা এরকম ধর্ষণের শিকার হতো না । এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আহবান থাকবে সময় কালক্ষেপণ না করে জনসম্মুখে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ফাঁসির কাস্টে ঝুলানোর দরকার ধর্ষকদের। জেলখানায় নিয়ে ফাঁসি দিবে এটা আমরা চাই না ,আমরা চাই জনসম্মুখে সবাই দেখবে ধর্ষকের বিচার। জনগণের যেটা দাবি সেটাই আইন। অথবা ইসলামিক আইনে বিচার করা হোক। জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। অন্তর্র্বতী কালীন সরকারের কাছে আশা করব খুব দ্রুত এই বিচার কার্যকর সম্পূর্ণ করা হবে। জনসম্মুখে বিচার সম্পন্ন করা হলে ধর্ষণ কমে আসবে বলে মন্তব্য করে।