মানুষকে কাছে টানতে পারিনি সংগীত দিয়ে: কবীর সুমন
Published: 16th, March 2025 GMT
দুই বাংলার জনপ্রিয় এবং স্পষ্টবাদী সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের আজ জন্মদিন। ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ উড়িষ্যার কটকে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলা গান দিয়ে জয় করে নিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তের মন। অথচ তারই প্রশ্ন, বাংলা আধুনিক গান কি আসলেই আধুনিক? সমকালীন? এটা ভাবার আছে।
কবীর সুমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকেও আধুনিক গান হিসেবে প্রশ্নহীন ভাবে গ্রহণ করতে নারাজ। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময় অনেকেই বলছেন, রবীন্দ্রনাথ সবচেয়ে আধুনিক। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কোন হিসেবে? বাঙালি এমন একটা ভাব করে, আমাদের এক পিস রবীন্দ্রনাথ আছে, এক পিস নজরুল আছে; সারা পৃথিবীটাই আমাদের। কিন্তু তাতো না। হিন্দিতে যে লিরিক লেকা হয়েছে, যে কবিতা লেখা হয়েছে, গল্প লেখা হয়েছে তা তুলনাহীন। ওরাতো এমন গর্ব করে বলেন না সারাক্ষণ। আমরা এমন রবীন্দ্রনাথ গাইছি, সাধারণ লোক শুনতে চাইছে না।’’
এই শিল্পী আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘আমরাতো মানুষকে কাছে টানতে পারিনি সংগীত দিয়ে। ’’
আরো পড়ুন:
আজ যীশুর জন্মদিন
‘ব্রেকিং নিউজ’ এ তটিনী
উল্লেখ্য, কবীর সুমনের বাবা ছিলেন সুরিন্দ্রনাথ এবং মা উমা চট্টোপাধ্যায়। কবীর সুমনের গানের হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে। একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করে বেশ কয়েক বছর দেশে-বিদেশে সাংবাদিকতা করেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালে গতানুগতিক ধারার বাইরে আধুনিক গান নিয়ে হাজির হয় কবীর সুমন। এর আগে তিনি রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে কাজ করলেও ৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ একক গানের মধ্য দিয়ে সংগীত অনুরাগীদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২
‘উৎসবে আনন্দে রচি মানবিক পৃথিবীর গান’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আনন্দ শোভাযাত্রা, দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ করে নিল স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
সোমবার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৮টায় ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা। এর পর সকাল ৯টায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে শুরু হয় বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাস্কেটবল গ্রাউন্ড থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এসে শেষ হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান বৈশাখী মেলার স্টল উদ্বোধন করেন। পরে মনোজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।