আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে কি না জানা যাবে আজ
Published: 16th, March 2025 GMT
এক দশকের বেশি সময় আগে ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলায় আপিলের রায়ের দিন আজ ধার্য রয়েছে। আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে কি না জানা যাবে আজ।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।
আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের এ তারিখ ধার্য করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথা-কাটাকাটি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন বিকেলে ধানমন্ডি থানার জিগাতলায় যাত্রীছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে আসামিরা ছুরিকাঘাত করেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক এসআই সাহিদুল বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরা হলেন-তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো.
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জিসানকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্কুলছাত্র আয়াজ হত্যা: আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে কি না, জানা যাবে কাল
এক দশকের বেশি সময় আগে ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলায় আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে কি না, তা আগামীকাল রোববার জানা যেতে পারে। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর রোববার রায়ের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, আসামিদের আপিল রায়ের জন্য বেঞ্চটির রোববারের কার্যতালিকায় ৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে ওই মামলায় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন। আসামিরা তখন সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। রায়ে ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জিসান ও তৌহিদুল ২০২১ সালে পৃথক আপিল করেন। আপিলের ওপর গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
আদালতে জিসানের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার শুনানিতে ছিলেন।
আরও পড়ুনস্কুলছাত্র আয়াজ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথা-কাটাকাটি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন বিকেলে ধানমন্ডি থানার জিগাতলায় যাত্রীছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে আসামিরা ছুরিকাঘাত করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক এসআই সাহিদুল বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দেন।