ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি শচীন টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারা। এমনটা শুনলেই ক্রিকেটপ্রেমীরা স্মৃতির টাইমে মেশিনে চড়ে নব্বইয়ের দশকে ঘুরে আসতে পারেন। সে সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তাঁদেরই। টেন্ডুলকার না লারা, ব্যাটসম্যানশিপের বিচারে কে বড়—প্রশ্নে বিভক্ত হতো পুরো ক্রিকেট–বিশ্বই।

সর্বকালের অন্যতম সেরা সেই দুই ব্যাটসম্যান আজ আবার মুখোমুখি ক্রিকেট মাঠে। কোচ বা অন্য কোনো ভূমিকায় নয়, লারা-টেন্ডুলকার আজ খেলোয়াড় হিসেবেই মুখোমুখি হবেন। সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগের ফাইনালে যে মুখোমুখি ক্যারিবীয় ও ভারতীয় কিংবদন্তির দল।

ভারতের রায়পুরে আজ বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু ফাইনালে মুখোমুখি হবে টেন্ডুলকারের ভারত মাস্টার্স ও লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্স। লারা ও টেন্ডুলকার আবার যাঁর যাঁর দলের অধিনায়ক।

আরও পড়ুনযেদিন হারানো মুকুট ফিরে পেয়েছিলেন ব্রায়ান লারা১২ এপ্রিল ২০২৪

পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে সেমিফাইনাল উঠেছিল ভারত মাস্টার্স। লিগ পর্বে একমাত্র যে দলটির কাছে হেরেছিল, সেই অস্ট্রেলিয়া মাস্টার্সকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারতীয়রা।

অন্যদিকে লিগ পর্বে চতুর্থ হয়ে সেমিফাইনালে ওঠা লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ চারে হারায় লিগ পর্বের শীর্ষ দল শ্রীলঙ্কাকে। লিগ পর্বের দেখায় টেন্ডুলকারদের কাছে ৭ রানে হেরেছিলেন লারারা। ২০ ওভারের ম্যাচে ভারতের ৩ উইকেটে করা ২৫৩ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা ৬ উইকেটে করতে পারে ২৪৬ রান। আজকের ম্যাচটি তাই লারাদের প্রতিশোধের উপলক্ষও।

লিগ পর্বের সেই ম্যাচে অবশ্য ছিলেন না টেন্ডুলকার। ভারত ম্যাচটি খেলে যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বে। লারা সেদিন আটে নেমে মুখোমুখি হওয়া একমাত্র বলে চার মেরেছিলেন।

আরও পড়ুনচেন্নাইয়ের শচীন, রেকর্ডের গিবস আর আফ্রিদির ‘আপেল’৩১ জানুয়ারি ২০২৫

টেন্ডুলকার ছিলেন ভারত মাস্টার্সের অন্য পাঁচ ম্যাচেই। সেই পাঁচ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৫৬ রান করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। অন্যদিকে লারা খেলেছেন চার ম্যাচ। চারবার ব্যাট করে ১০৭ রান করার পথে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন লারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল গ পর ব ফ ইন ল পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

এমআরটি পুলিশ-মে‌ট্রো কর্মচারী‌দের হাতাহা‌তি, ট্রেন ব‌ন্ধের হুঁ‌শিয়া‌রি

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে এমআর‌টি পু‌লিশ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ক‌রে‌ছে অভিযোগ ক‌রে বিচার দা‌বি ক‌রে‌ছে মে‌ট্রো‌রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তা‌দের ভাষ‌্য অনুযায়ী দায়ী পু‌লিশ সদস‌্যদের এক‌দি‌নের ম‌ধ্যে স্থায়ী বরখাস্ত না করা পর্যন্ত কর্মবির‌তি তথা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছেন। ফলে ১৭ মার্চ সোমবার সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

রোববার রাত দুইটার দি‌কে এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জা‌নি‌য়ে‌ছে মে‌ট্রো‌রে‌লের কর্মীরা। ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’ এর ব্যানারে বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ৬ দফা দাবি জানানো হয়। এগু‌লো হ‌লো, এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা পুলিশের উপপ‌রিদর্শক মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত এবং প‌রিদর্শক র‌ঞ্জিত, কন্সটেবল শাস্তি দি‌তে হবে। তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এমআর‌টি পু‌লিশ বি‌লোপ ক‌রে মে‌ট্রো‌রেলের নিরাপত্তায় নিজস্ব বা‌হিনী‌ গঠন কর‌তে হ‌বে। স্টেশ‌নে দা‌য়িত্ব পালন করা মে‌ট্রো কর্মকর্তা ও কর্মচারী‌দের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয়পত্র এবং অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তি স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে পার‌বে না। আহত কর্মীর চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হ‌য়ে‌ছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হ‌বে। একা‌ধিক কর্মী জানান, ১৭ মার্চ সকাল থেকে ট্রেন চালানো হ‌বে না।
 
বিজ্ঞপ্তিতে দা‌বি করা হ‌য়ে‌ছে, রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দি‌কে দুজন মহিলা পরিচয়পত্র না দে‌খি‌য়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে, স্টেশ‌নের সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। নির্ধারিত পোশাক পরিহিত না হওয়ায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাই‌লে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে পু‌লি‌শের এপিবিএন দুইজন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে, তা না লাগিয়ে চলে যান। মে‌ট্রোর কর্মীরা কারণ জানতে চাই‌লে, তারা এবং কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে তর্কে জড়ান। কর্মরত কর্মীর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে। আরেকজন কর্মী‌কে এমআরটি পুলিশ বক্সে তু‌লে নিয়ে মারধর করে। এছাড়াও বন্দুক তাক করে গুলি করার হুম‌কি দেয়। পরে উপস্থিত অন‌্যান‌্য কর্মী ও যাত্রীরা এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মকর্তাকে উদ্ধার ক‌রে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ