পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আজ মুখোমুখি লারা–টেন্ডুলকার
Published: 16th, March 2025 GMT
ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি শচীন টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারা। এমনটা শুনলেই ক্রিকেটপ্রেমীরা স্মৃতির টাইমে মেশিনে চড়ে নব্বইয়ের দশকে ঘুরে আসতে পারেন। সে সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তাঁদেরই। টেন্ডুলকার না লারা, ব্যাটসম্যানশিপের বিচারে কে বড়—প্রশ্নে বিভক্ত হতো পুরো ক্রিকেট–বিশ্বই।
সর্বকালের অন্যতম সেরা সেই দুই ব্যাটসম্যান আজ আবার মুখোমুখি ক্রিকেট মাঠে। কোচ বা অন্য কোনো ভূমিকায় নয়, লারা-টেন্ডুলকার আজ খেলোয়াড় হিসেবেই মুখোমুখি হবেন। সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগের ফাইনালে যে মুখোমুখি ক্যারিবীয় ও ভারতীয় কিংবদন্তির দল।
ভারতের রায়পুরে আজ বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু ফাইনালে মুখোমুখি হবে টেন্ডুলকারের ভারত মাস্টার্স ও লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্স। লারা ও টেন্ডুলকার আবার যাঁর যাঁর দলের অধিনায়ক।
আরও পড়ুনযেদিন হারানো মুকুট ফিরে পেয়েছিলেন ব্রায়ান লারা১২ এপ্রিল ২০২৪পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে সেমিফাইনাল উঠেছিল ভারত মাস্টার্স। লিগ পর্বে একমাত্র যে দলটির কাছে হেরেছিল, সেই অস্ট্রেলিয়া মাস্টার্সকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারতীয়রা।
অন্যদিকে লিগ পর্বে চতুর্থ হয়ে সেমিফাইনালে ওঠা লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ চারে হারায় লিগ পর্বের শীর্ষ দল শ্রীলঙ্কাকে। লিগ পর্বের দেখায় টেন্ডুলকারদের কাছে ৭ রানে হেরেছিলেন লারারা। ২০ ওভারের ম্যাচে ভারতের ৩ উইকেটে করা ২৫৩ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা ৬ উইকেটে করতে পারে ২৪৬ রান। আজকের ম্যাচটি তাই লারাদের প্রতিশোধের উপলক্ষও।
লিগ পর্বের সেই ম্যাচে অবশ্য ছিলেন না টেন্ডুলকার। ভারত ম্যাচটি খেলে যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বে। লারা সেদিন আটে নেমে মুখোমুখি হওয়া একমাত্র বলে চার মেরেছিলেন।
আরও পড়ুনচেন্নাইয়ের শচীন, রেকর্ডের গিবস আর আফ্রিদির ‘আপেল’৩১ জানুয়ারি ২০২৫টেন্ডুলকার ছিলেন ভারত মাস্টার্সের অন্য পাঁচ ম্যাচেই। সেই পাঁচ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৫৬ রান করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। অন্যদিকে লারা খেলেছেন চার ম্যাচ। চারবার ব্যাট করে ১০৭ রান করার পথে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন লারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল গ পর ব ফ ইন ল পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
আট মাসে এডিপির বাস্তবায়ন ২৪%
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি স্থবির হয়ে পড়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত আট মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার মাত্র ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে কম। একক মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারির বাস্তবায়নে গত বছরের একই মাসের অর্ধেকের মতো। মাসটিতে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এডিপির ব্যয় প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত আট মাসে এডিপির প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৫ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের একই সময়ের চেয়ে ব্যয় কমেছে ১৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
উন্নয়ন ব্যয়ে এ স্থবিরতার কারণ জানতে চাইলে আইএমডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেয়। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা হয়। কিছু প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে অনেক প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার অর্থবছরের শুরুর দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাস্তবায়ন কাজ বিঘ্নিত হয়েছে।
আইএমইডির প্রতিবেদন একক মাসের হিসাবে গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই মাসে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ একক মাস হিসাবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই মাসের চেয়ে বাস্তবায়নে খরচ কম হয়েছে ৩ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছর ১ হাজার ৩২৭টি প্রকল্প, ১৭টি উপপ্রকল্প ও উন্নয়ন সহায়তা থোক হিসাবে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বিপরীতে মূল এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়নে স্থবিরতার কারণে কাটছাঁট করে সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার রেকর্ড পরিমাণ ছোট করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ব্যয় কমানো হয়েছে ১৮ শতাংশ বা ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।