গত কয়েক বছরে জম্বি সিনেমা ও সিরিজে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। হালের এই জম্বি বিপ্লবের শুরুটা যে ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ট্রেন টু বুসান’ দিয়ে, সেটা বলে না দিলেও চলে। এর পর থেকে দেশটিতে নানা ধরনের জম্বি হাজির হয়েছে পর্দায়; সিনেমা দুনিয়ায় তো ‘কে-জম্বি’ নামে আলাদা ঘরানাই তৈরি হয়ে গেছে। এখন আলোচনা চলছে নতুন জম্বি সিরিজ ‘নিওটোপিয়া’ দিয়ে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি অ্যামাজন প্রাইমে প্রিমিয়ার হয় সিরিজটির। এর পর থেকেই সারা দুনিয়ার তরুণ দর্শকেরা মজেছেন এই জম্বি সিরিজে।

তবে জম্বি সিরিজ হলেও নিওটোপিয়ায় আছে বেশ কিছু নতুন ব্যাপার-স্যাপার। সিরিজটি তৈরি হয়েছে হান সাং-উনের উপন্যাস ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা’ অবলম্বনে। ‘নিওটোপিয়া’ মূলত রোমান্টিক ফ্যান্টাসি সিরিজ, হরর ও কমেডির মিশ্রণ এটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। সমালোচকেরা বলছেন, বেশ কিছু দুর্বলতা থাকলেও সিরিজটি এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে জম্বি নিয়ে রোমান্টিক-কমেডির মতো তরতাজা আইডিয়ার কারণেই। অনেক সমালোচক এটিকে ‘রম-কম’ না বলে ‘জম-কম’ও বলছেন।

‘নিউটোপিয়া’র দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সরদারের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই জিপু সরদারের নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরও এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।

নিহত জিপু সরদার (৩০) ও আহত মনিরুল ইসলাম সরদার (৩৮) ওই গ্রামের রিকাত আলী সরদারের দুই ছেলে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিরোধ, বাড়ির সীমানা ও জমিজমা নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। আগের ঝগড়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া বাধে। ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে বড় ভাই মনিরুলকে আঘাত করে জিপু, পরে জিপুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মনিরুল। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুই ভাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহীতে নেওয়ার পথে জিপু মারা যায়।

আহত বড় ভাই মনিরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ও আহত দুই ভাইয়ের বাবা রিকাত আলী সরদার বলেন, দুজনই আমার সন্তান। দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন আরেক জনকে হত্যা করবে তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কী করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে আহত বড় ভাই মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করার পর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে নিশ্চিত করে ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ