দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গণধোলাই দিয়ে প্রশাসন থেকে তাড়াতে হবে: কর্নেল অলি
Published: 16th, March 2025 GMT
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আওয়ামী ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের লোকজনকে এখনও সরাতে পারেনি। দুর্নীতিবাজ-লুটেরা কর্মকর্তাদের গণধোলাই দিয়ে প্রশাসন থেকে তাড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে। তারা মুসলমান নন এবং এ দেশের নাগরিকও নন, ভবিষ্যতে তাদের এদেশে আর আসতে দেওয়া হবে না।
শনিবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে কর্নেল অলি বলেন, ক্ষমতার লোভ না করে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করলে একদিন ক্ষমতা নিজে এসে হাতে ধরা দেবে। আওয়ামী লীগের লোকজন যাতে দলে ঢুকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পটিয়া উপজেলা এলডিপি’র সভাপতি মনছুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র সভাপতি এয়াকুব আলী। এলডিপি নেতা আবদুল কুদ্দুস ও আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম, চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সভাপতি আইনুল কবির, এলডিপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আহমদ নবী, এলডিপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ জাফর, বাশঁখালী পৌরসভা এলডিপির সভাপতি আনিসুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা এলডিপির সভাপতি মাহমুদুল হক চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, দোহাজারী পৌরসভা এলডিপির সভাপতি লিয়াকত আলী, পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সহ-সভাপতি সামশুল আলম সিকদার, পটিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর সাদেক হোসেন, সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, পটিয়া পৌরসভা এলডিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এলড প এলড প র স প রসভ আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে’
গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠগুলোর সহাবস্থান লক্ষ্য করছি। এই রাজনৈতিক সহনশীলতার সংস্কৃতি জারি রাখতে হবে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ইফতার মাহফিল ও ‘গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান এ কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডুজার সদস্যদের জুলাই আন্দোলনে যে নির্ভীক ভূমিকা ছিল তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি। তিনি আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য ডুজার সদস্যরাসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সামিতির আয়োজনে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে যে সহাবস্থান ও সহনশীলতার পরিচয় পেয়েছি, সেটি ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে আমি সে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডুজা সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্রসংগঠনগুলোর যে একতা আমরা দেখেছি, সেটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ভয় ছিল, সেটি দূর করতে আপনাদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা প্রয়োজন। যেকোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়িয়ে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে।
সভায় ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, বাংলাদেশ ইমলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (একাংশ) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাগীব নাঈম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ।
বক্তব্যে ছাত্রনেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন।