ঢাকায় জাতিসংঘের নতুন অফিস উদ্বোধন আন্তোনিও গুতেরেসের
Published: 16th, March 2025 GMT
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের নতুন অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এই খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ সময় আন্তোনিও গুতেরেস অফিস প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। পরে সেখানে তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন করেন।
এর আগে আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ আবাসিক কার্যালয়ে কর্মরতদের (বাংলাদেশ কান্ট্রি টিম) সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। পরের দিন শুক্রবার তিনি কক্সবাজার সফর করেন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেছেন।
আরও পড়ুনএক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব১৪ মার্চ ২০২৫সফরের তৃতীয় শনিবার ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস। এদিন তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তরুণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাঁকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটা তাঁর আশা।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অবিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও কোনো উপকার হয়নি। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।