সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যের ওপর জোর
Published: 16th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রত্যাশা করে সংস্কারে সহায়তার কথাও জানালেন তিনি। তবে কাজটি দেশের রাজনৈতিক দল ও সরকারকেই করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
গতকাল শনিবার দুপুরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাতিসংঘ ঢাকা কার্যালয়। এতে সরকারের প্রতিনিধি, সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা তাঁদের নিজ নিজ সংস্কার প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল লিখিত বক্তব্য জমা দেয়।
গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্র বলছে, বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তাঁদের বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনের আগে কতটুকু সংস্কার হবে, এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য উঠে এসেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব শেষে তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশের অংশীজনেরাই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। কতটুকু এবং কীভাবে করবে, সে বিষয়ে তাদেরই ঠিক করতে হবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কারে সহায়তা দিয়ে যাবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তিনি তাঁর নিজ দেশ পর্তুগালের সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন। বাংলাদেশের সংস্কার এ দেশের মতো করেই করা দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন। সংস্কার কমিশনের ওই সদস্য আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কারের বিষয়ে তাদের সমর্থনের কথা বলেছে। এখানে মতপার্থক্যগুলো হচ্ছে কোন সংস্কার কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে, এটা নিয়ে।
জাতিসংঘ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স,আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বৈঠকে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানদের মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার চায় বিএনপিগোলটেবিল বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে কী নিয়ে আলাপ হয়েছে, বিএনপিই-বা কী বলেছে? জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত দিন যে কথা বলে আসছি, একই কথা বলেছি। সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে। সংস্কারের কথা তো আমরা আগে বলেছি। সেই সংস্কারটা অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেই সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায়, আমরা বলেছি, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব বিষয় আছে, সেগুলো করে ফেলা, দ্রুত নির্বাচন করা এবং একটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে বাকি বিষয়গুলো করতে হবে। এটা (সংস্কার) চলমান প্রক্রিয়া। সেই বিষয়গুলো বলে এসেছি।’
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা যা চাইছে, সব তাদের দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে একটা বৈঠক হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিবকে টাইম ফ্রেম দিতে যাব কেন?’
নির্বাচন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা বসে রিফর্মস কী নেবেন, সেটা ঠিক করেন। উনি বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীর মধ্যে একটা নজির সৃষ্টি করবে আগামী নির্বাচন, এমনটা উনি আশা করেছেন।’
সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান অন্যরাওজাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক শেষে বেরিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলেছি। একটা ফেয়ার নির্বাচনের বিষয়ে বলেছি, টেকসই গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলেছি।’ তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব তাঁদের অধিকাংশ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাঁরা সহযোগিতা করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানসহ যে সংস্কারের প্রশ্ন আছে, আমরা বলেছি এ পদ্ধতি হওয়া উচিত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে। অর্থাৎ ঐকমত্য ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে সকলে যেটাতে ঐকমত্যে পৌঁছাব, সেগুলো জাতীয় চার্টার আকারে সামনে আসবে। তা বাস্তবায়নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’ জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী হওয়ারও কথা বলেন তিনি।
এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, জাতিসংঘের তিনটি প্রতিষ্ঠানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার তিনজন আত্মীয় কাজ করছেন। তিনি তাঁর দলের পক্ষ থেকে বলেছেন, জাতিসংঘ যেহেতু ইনসাফ চায়, ইনসাফটা যেন শুরু হয় জাতিসংঘের নিজের অফিস থেকে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় শেখ হাসিনার মেয়ে কাজ করছেন, ইউএনডিপিতে শেখ রেহানার ছেলে ববি কাজ করছেন এবং ববির স্ত্রী কাজ করছেন মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশনে। আমরা বলেছি, এই নিয়োগগুলোকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য।’
মৌলিক সংস্কার চায় এনসিপিগোলটেবিল বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের দল মনে করে, জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি হলো বিচার ও সংস্কার। মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের কাছে সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা, তা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার নিয়ে এনসিপির অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, গণপরিষদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে, অন্যথায় সংবিধান সংস্কার টেকসই হবে না। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের চাওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন নিজেরাই সমঝোতায় আসে, একটা ঐকমত্যে আসে এবং একসঙ্গে কাজ করে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘কোনো রকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না। অন্য সব রাজনৈতিক দলও এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এখানে মতপার্থক্য হচ্ছে, কোন সংস্কারটা কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের মধ্যে এর বাস্তবায়ন হলে যে মতপার্থক্যগুলো আছে, সেগুলো কেটে যাবে। আমরা ঐকমত্যে আসতে পারব।’
গণপরিষদ ছাড়া সংবিধানের মৌলিক কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না বলেও মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাচ্ছি। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন, সেটা একই সঙ্গে আইন পরিষদ ও গণপরিষদ নির্বাচন, পাশাপাশি আমরা বিচারের বিষয়টা বলেছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ক জ করছ ন সরক র র উপদ ষ ট ঐকমত য ক জ কর র র জন এনস প ব এনপ কতট ক
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে মতামত দিয়েছে আরও ৪ দল
সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে আরও চারটি রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের মতামত দিয়েছে। এ নিয়ে কমিশনের কাছে ১১টি দল তাদের মতামত দিল।
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে ‘স্প্রেড শিট’ (ছক আকারে) পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে সাতটি দল মতামত জানিয়েছিল।
আজ রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে আরও চারটি দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। আজ পর্যন্ত মোট ১১টি রাজনৈতিক দলের মতামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১৮টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েক দিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, নতুন করে যে চারটি দল মতামত দিয়েছে সেগুলো হলো—রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এর আগে এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে ওলামা ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, এনডিএম ও আমজনতার দল মতামত জানিয়েছিল। যে দলগুলো ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছে তাদের নিয়ে চলতি সপ্তাহ থেকে আলোচনা শুরু করার চিন্তা আছে। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনা। এ লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছয়টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব কমিশনের প্রধানদের নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে সরকার। ঐকমত্য কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশে একমত হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা জুলাই সনদ।
পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো ছক আকারে দলগুলোর কাছে পাঠিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। প্রথমটি হলো সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে দলগুলো একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়টি হলো প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।