Samakal:
2025-04-14@18:22:06 GMT

বিদ্যালয় ঘেঁষে বালুর ব্যবসা

Published: 15th, March 2025 GMT

বিদ্যালয় ঘেঁষে বালুর ব্যবসা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে অবৈধ বালুর স্তূপ করা হয়েছে। বিএনপি নেতা হাসমত আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
হাসমত আলী উপজেলা তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক ও নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। স্তূপ করার ফলে বালু স্কুলের মাঠ ও বারান্দায় প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক স্কুল মাঠ ও এর আশপাশে বালু স্তূপ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে হাসমত আলীর নেতৃত্বে নিকরাইলে বালুর ঘাট দখল করে ব্যবসা করা হচ্ছে। ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে এবং বাল্কহেড দিয়ে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ অংশ থেকে বালু এনে স্তূপ করে বিক্রি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুল ঘেঁষে অবৈধ বালুর ঘাট করা হয়েছে। বালু স্কুলের শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ ও বারান্দায় প্রবেশ করে। একটু বাতাস এলেই নাক-মুখ দিয়ে বালু ঢোকে। শিক্ষকদের বলেও কোনো লাভ হয় না। বালুর কারণে ক্লাস করা সম্ভব হয় না। তারা এই অবৈধ বালু ঘাট দ্রুত অপসারণ চায়। এছাড়া এক্সক্যাভেটর দিয়ে সারাদিন ট্রাকে বালু তোলা হয়। ভেকুর বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারে না।
প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, স্কুলের পাশে যেখানে জমি ভাড়া নিয়ে তারা বালু স্তূপ করেছে, ওই জায়গা স্কুলের নয়। আগে আওয়ামী লীগের নেতারা বালু স্তূপ করে স্কুলের ক্ষতি করেছেন, এখন বিএনপি নেতারা করছেন। বিএনপি নেতা হাসমত আলী প্রভাবশালী লোক। তাঁকে অনেকবার স্কুল ঘেঁষে বালুর স্তূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু তিনি শুনছেন না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুল ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হাসমত আলীর এ অবৈধ বালুর ঘাট বন্ধে একাধিবার বলা হলেও প্রতিকার মেলেনি। যারাই এ বালুর ঘাট বন্ধে প্রতিবাদ করেন, অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেন।
হাসমত আলী জানান, স্কুলের কোনো ক্ষতি হোক, তা তারা চান না। এই বালুর ঘাটে তিনি ছাড়াও স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। দ্রুতই বালু অপসারণ করা হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তাঁকে বাধা দিলেই আমি জড়িত রয়েছি বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু সত্য হলো আমি বালু ব্যবসা ও স্তূপের সঙ্গে জড়িত নই।’  
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম জানান, বালুর ঘাট ও স্কুল দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অব ধ ব ল স ত প কর ব যবস ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে 

সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ