চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ
Published: 15th, March 2025 GMT
ভালুকার মাস্টারবাড়ীতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অটোরিকশা ও বাস কাউন্টার থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন।
মানববন্ধন চলাকালে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাসড়কের পাশে দোকান ও বাস কাউন্টার থেকে নিয়মিত ২০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন ভালুকা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগের সমর্থকরা। চাঁদার টাকা দিতে রাজি
না হলে হুমকি-ধমকি দেন স্থানীয় শ্রমিক নেতা হারুন অর রশিদ, সবুজ গাজী, নান্নু লাল, শরিফ হোসেন, আতিক।
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে আধা ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। পরে ভালুকা-থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে ভালুকা উপজেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগ জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত কেউ শ্রমিক দলের লোক নন। তিনি দাবি করেন, একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শ্রমিক দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে এ ধরনের মিথ্যে কর্মসূচি চালিয়ে আসছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ লাখ মুক্তিপণ দিলেও ছেলে ফেরেনি, মানববন্ধনে পরিবারের আকুতি
মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও মিলনকে ফিরে পাননি বাবা। প্রায় ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি। মিলন হোসেন (২৩) পীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানজাব আলীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। অপহৃত হওয়া কলেজ পড়ুয়া সেই শিক্ষার্থীকে দ্রুত ফিরে পেতে ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁওবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধনে অংশ নেন মিলনের পরিবারসহ এলাকাবাসীরা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তাায় এসে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিলনের মা বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে অপহরণ করে তারা কোথায় রেখেছে জানি না, কেমন আছে জানি না। অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল, আমরা গরিব খেটে খাওয়া পরিবার; সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছি। মুক্তিপণের দাবি পূরণ করার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়নি।’’ দ্রুত ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে এবং অপহরণকারীদের আটক করে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
আরো পড়ুন:
ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে আইএসইউ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পর দিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরদিন মুক্তিপণ বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিন দিন পর ১৫ লাখ চায় চক্রটি। সর্বশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র।
সর্বশেষ ৯ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ১০টার ট্রেনে উঠতে বলে অপহরণকারীরা। এরপর জেলার পীরগঞ্জের সেনুয়া এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগটি বাইরে ফেলে দিতে বলে চক্রটি। মিলনের জন্য দুই সেট পোশাকসহ ২৫ লাখ টাকা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ১০ মিনিট পর টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে অপহরণকারী চক্র। এরপর দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপহৃত মিলনকে পাওয়া যাবে বলে তথ্য দেয় চক্রটি। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে পাওয়া যায়নি তাকে।
ঢাকা/হিমেল/বকুল