সম্প্রতি দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। ভুক্তভোগীদের প্রতি বিদ্যমান সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ভিকটিম ব্লেমিং (ভুক্তভোগী দোষারোপ) বন্ধ করার দাবিও জানান তাঁরা।

সম্প্রতি যৌন হয়রানি ও ধর্ষণবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা ও  বিক্ষোভকারীদের প্রতি  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমননীতি প্রয়োগের ঘটনায় আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।

ব্লাস্টের মতে, এসব ঘটনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩); শিশু আইন ২০১৩, দণ্ডবিধি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনসহ নির্যাতন প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন ও নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদে (সিডও) নারীর সমতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা এবং বাক্‌স্বাধীনতা অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ঘটনাগুলো সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি ও ভুক্তভোগী ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে ব্লাস্ট।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও  বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, যৌন হয়রানি, অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন ও অনলাইন সহিংসতার যেসব ঘটনা উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, সমাজে নারীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

ব্লাস্ট মনে করে, ন্যায়বিচার ও ন্যায়সংগত বিচারপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত অত্যন্ত জরুরি। দোষীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও আইনি সহায়তা এবং পুনর্বাসনের সুযোগ বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।  

বিজ্ঞপ্তিতে ভুক্তভোগীদের মানসিক ও আইনি সহায়তা দিতে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে সমন্বয়কের পিতাকে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি এনসিপির

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের এক সমন্বয়কের পিতাকে উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা ও বিচারের দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে জুলাই অভ্যুত্থানের সমন্বয়ক সাইদুল হুদার পিতা হাবিবুল হুদাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় সাইদুল হুদার পরিবারের আরও তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

এনসিপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক এর আগে বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দী ছিল। এদিকে এই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কেউই আইনের আওতায় আসেনি, যা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই হত্যা ও হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যককে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে এবং ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানায়।

আরও পড়ুনকক্সবাজারে গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যা১১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ