প্রতিপক্ষের পিটুনিতে যুবদল কর্মীর মৃত্যু
Published: 15th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম রাউজানে কমর উদ্দিন টিটু (২৬) নামে এক যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবারাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রাত ৯টার দিকে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে আমির চৌধুরী হাটে পিটিয়ে তাকে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
নিহত কমর উদ্দিন টিটু রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্ত্তা গ্রামের মুহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন তালুকদারের অনুসারী ও কর্মী।
জামালের দাবি, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য মহিউদ্দিন জীবন টিটুকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে মহিউদ্দীন জীবন ও তার সহযোগীরা টিটুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘টিটুকে বেধড়ক পিটানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তবে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপি’র সদস্য মহিউদ্দিন জীবন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দিয়েছে। এতে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমি রাউজান উপজেলা সদরে দলীয় ইফতার মাহফিলে ছিলাম।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলমা ভূইয়া বলেন, হলদিয়া মারামারি সংবাদ পেয়েছি। তবে নিহত হওয়ার বিষয়টি এখনও কেউ থানায় জানায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল য বদল উপজ ল হলদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে যুবক অপহরণ, দশ লাখ মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনায় অপহরণকারী দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
জানা যায়, মোহাম্মদ দেলোয়ার মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিম মিস্ত্রীর ছেলে।
সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফের বাহারছড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ।
তিনি বলেন, সকালে এলাকার তিনজন মিলে পাহাড়ে ছন আনতে যায়। ওই সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী ধাওয়া করে একজনকে ধরে নিয়ে যায়। অপর দুজন কোন রকম পালিয়ে এসেছে। এরপর দুপুরে অপহরণকারীরা অপহৃত পরিবারের কাছে ফোনে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, এক যুবক অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমরা অবগত নই।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্য বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।