Samakal:
2025-04-14@07:04:41 GMT

প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণ

Published: 15th, March 2025 GMT

প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণ

অধিকার প্রতিষ্ঠার নানা স্তর-স্তরায়নের কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মধ্যে পৃথিবীর প্রযুক্তিকালের এ সময়ে শারীরিক নারী অস্তিত্বের অবস্থানসূত্রে দাঁড়িয়ে নির্ণীত হচ্ছে অধিকারের গ্রন্থিসূত্র। নানা পাল্লায় নির্ণীত হচ্ছে নারীর অবস্থান এবং একক অবস্থানে থেকে নারীর অবস্থানগত পীড়ন। বিশ্বব্যাপী নারীর অধিকারিক দৃশ্যপট সামগ্রিক অর্থে উঠে আসছে না। এ ক্ষেত্রে করণ ও কারণের কোনোটিকেই ক্ষুদ্রপ্রয়াসে বিবেচনা করা কঠিন।
জনসংখ্যার হিসাবে নারীর আনুপাতিক হার বেশি হলেও এ দেশে নারী নানা অবস্থানেই অধস্তন; ফলে কেন্দ্র পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন সার্বিক পরিস্থিতিতে বিবেচনায় আনে না। যদিও অবস্থানের গুণগত কাঠামোর দিকটি প্রান্তিক নারীর অবস্থানকে সমানুপাতিক না হলেও, পরিবর্তনের সমান্তরাল চিত্রটি তুলে ধরছে।
বিশ্বায়নের যুগে ‘নারী’ শব্দটি একটি বহুল প্রেক্ষিতে বারবার সামনে এসেছে নারীর উন্নয়নের প্রশ্নে। যদিও দুটি বিষয় বিচারের সমীকরণ ভিন্নগতির। এ ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার বিষয়টি প্রাধান্য পায় নারীকে প্রান্তে রেখে; কেন্দ্রে অবস্থানকৃত পুরুষতন্ত্রকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা নারীর অবস্থান সর্বদাই সেখানে অধস্তন। অধঃস্তন থেকে স্বল্পসংখ্যক নারীর ঊর্ধ্বতন অবস্থানে চলে আসায় পৃথিবীর ইতিহাস একটি পরিক্রমাকাল। এ পরিক্রমাকালীন ইতিহাসের বিভিন্ন জরিপ সংখ্যায় চিত্র নানা সময় তৈরি করা হয়েছে। এসব সমীকরণে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বিষয়গুলোর মতো রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাঠামোগত বিষয়গুলো সচেতনভাবেই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে; যদিও রাজনৈতিক ও ক্ষমতার সাংগঠনিক কাঠামোগত বিষয়টি নির্ধারিত হলে উন্নয়নের বিষয়টি ত্বরান্বিত হওয়া হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র।
নারী বঞ্চনার ইতিহাস দীর্ঘকালের। বিশেষত বিরাজমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামো নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং সমমর্যাদার অবস্থান তৈরির বাধা এবং এটি কোনো ট্যাবু নয়। বিপরীতক্রমে দেখা যায়, পরিবর্তনশীল সমাজ কাঠামোর পরিক্রমায় নারীর অবস্থানগত পরিবর্তন ঘটছে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীদের মতোই বাংলাদেশের নারীরা ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের দিক থেকে; কিন্তু সীমিত সে আনুপাতিক হারের চিত্র ও অবস্থান পিছিয়ে পড়া নারীর জন্য কতটা ইতিবাচক তা প্রশ্নসূচক। 
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক ধর্মীয় আবহে নারী প্রসঙ্গটি ছিল পর্দা অথবা গৃহবন্দি আবহে। এই আবহের মধ্যে প্রথম বেরিয়ে আসার প্রবণতা হিন্দু সমাজের, যদিও কেবল প্রথা ভেঙে সে সময় বেরিয়ে আসাটাই ছিল প্রবল বিরুদ্ধতার কাজ। সতীদাহ প্রথা বিলোপ আর বিধবা বিবাহ প্রচলনের দাবিও মাত্রই বিষয়টি সচেতনভাবে প্রবল অসচেতনতার চিত্র হাতে তুলে ধরে। সমান্তরালে পর্দাপ্রথা, পারিবারিক অবরোধ ভেঙে মুসলিম নারীদের বাইরে আনার ব্যাপারটি বাংলাকেন্দ্রিক এই যাত্রার পুরোধা একজন নারীর। এটি অত্যন্ত সচেতনভাবেই ঘটেছে। ঔপনিবেশিক আবহে জাতিগত পরিচয় প্রাপ্তি এবং মুক্তির চালচিত্র প্রতিষ্ঠার সমন্বয়বাদী সামাজিক প্রচেষ্টায় নারীর অংশগ্রহণ পরিপূর্ণ নিশ্চিত না হলেও চোখে পড়ার মতো এবং এটি পরিবর্তনের ইঙ্গিতবহ। একটি জাতিরাষ্ট্রের ভাবনায় রাজনৈতিক অধিকারজনিত এ সমন্বয় সূত্রটি প্রতিষ্ঠিত না থাকলে সার্বিক উন্নয়ন যে কতটা ব্যবহৃত তা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপর আমরা টের পাই। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.

মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা উচ্চশিক্ষিত হয়েছি ঠিক, কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন হয়নি।’ একই সঙ্গে নারীর পোশাকের বিষয়ে তিনি বরং ভিন্নমাত্রা যুক্ত করে বলেন, ‘আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে নারীরা বরং পেশাগত পোশাক পরিধানে এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি।’ যেটি খুব জরুরি বলে তিনি মনে করেন। 
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এ দেশে নারীর রাজনৈতিক আন্দোলনের যাত্রাপথে একটি মাইলফলক। এ পর্যায়ে নারীরা নির্যাতিত হওয়ার সংখ্যাটি যেমন দৃশ্যমান, তেমনি ছিল নারীর সশস্ত্র অংশগ্রহণ। কখনও সরাসরি, কখনও পরোক্ষে, কখনও আড়ালে। নারীশক্তির প্রয়োজন এ সময়ে পর্যায়ভুক্ত হতে পারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। ১৯৭২ সালের প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের ১০, ২৭, ২৮ (১, ২, ৩, ৪), ২৯(১), ৩২, ৬৫(৩) ধারায় রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম নারীর সমতাবিষয়ক স্বীকৃতি পাওয়া যায়। 
রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রধারায় নারীর অংশগ্রহণ ও তাঁর প্রতিনিধিত্বকেন্দ্রিক নারীর অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে পারিবারিক অবস্থান থেকে। যেটি মধ্যবিত্তীয় নারীর ক্ষেত্রে কেবল যাত্রা শুরুর কাল কিংবা সর্বোচ্চ প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের বাহ্যিক চিত্র একটি বিচিত্রাকার প্রাণীর মতো। স্পর্শে যার অস্তিত্ব একটি বহুমাত্রিক নারীর জীবনপ্রবাহ, পারিবারিক অবস্থান সামাজিক স্তরায়ণ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং রাষ্ট্রীয় ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে শিক্ষার সঠিক চিত্র নানাভাবে জড়িত। প্রতিটি স্তরীভূত সামাজিক বিক্রিয়ার সমন্বয় ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গনে নারীর স্বল্পসংখ্যক অবস্থান দৃশ্যত মূল্যায়ন করা হলেও অবস্থানগত মূল্যায়ন জরুরি। বিগত সময়ে সরকারপ্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে নারীরা অবস্থান করলেও, সঠিক ও গুণগত অবস্থান এখনও মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারেনি। সুতরাং নারীর অধিকারে তখনই সঠিক উপাদানের সফল বাস্তবায়ন সম্ভবপর হবে, যখন একটি ক্ষমতাকাঠামো ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি স্তরে নারী যথার্থ অর্থেই ক্ষমতায়িত হবে। বাংলাদেশের সব অঙ্গনে প্রত্যাশিত ক্ষমতায়নের দৃশ্যপট বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে নারী কেন্দ্রের ক্ষমতায়ন নয়, বরং প্রান্তের নারীর কাছেও পৌঁছে যাবে। বেগম রোকেয়ার ‘উদ্ভট শকট’ কিংবা ‘গোলাপ লতিকায় কাঁঠালের’ কথা তো সবাই জানি; জানি না কেবল পড়শী বাড়ির প্রান্তিক নারী কেমন আছে। জানতে হবে– কেননা সমতারও সমতা প্রয়োজন। v
লেখক: কবি, কথাসাহিত্যিক
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র র অবস থ ন ক অবস থ ন র জন ত ক ক ষমত য় গ রহণ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে সুমি শহরে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৩৪, ‘ভয়াবহ ঘটনা’ বললেন ট্রাম্প

ইউক্রেনের সুমি শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৪ জন নিহত এবং ১১৭ জন আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা। রাশিয়ার প্রাণঘাতী এই হামলার সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার মধ্যরাতে সুমি শহরের কেন্দ্রস্থলে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যা স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং কংগ্রেস সেন্টারের কাছে বিস্ফোরিত হয়। রক্তাক্ত মৃতদেহ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির গুদাম ধ্বংস

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূতের ৪ ঘণ্টা বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে ‘ভয়াবহ ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন, অন্যদিকে জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছেন।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রুশ বাহিনী কাছাকাছি সীমান্তের ওপারে একটি বড় হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই হামলাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন ইউক্রেনের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের নেতৃত্বে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চতুর্থ বছর চলছে।

ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকরা রাশিয়ার হামলা সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটি ভয়াবহ ঘটনা এবং আমাকে বলা হয়েছে যে তারা ভুল করেছে।” কিন্তু ট্রাম্প এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

রোববার জেলেনস্কি রাশিয়ার আক্রমণের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার দেশ সফর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউক্রেনীয় নেতা মার্কিন টেলিভিশন সিবিএসে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “দয়া করে, যেকোনো ধরনের আলোচনার আগে, যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সামরিক ও বেসামরিক মানুষের ওপর রাশিয়ার হত্যাযজ্ঞ এবং হাসপাতাল ও গির্জায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে আসুন।”

ফ্রিডরিখ মের্জ, যিনি আগামী মাসে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি জার্মানির সরকারি টেলিভিশন এআরডিকে বলেছেন, ইউক্রেনের সুমি শহরে রাশিয়া যে ধরণের হামলা চালিয়েছে তা একটি ‘গুরুতর যুদ্ধাপরাধ’।

জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এই হামলাটি ‘শান্তির জন্য রাশিয়ার কথিত প্রস্তুতির আসল রূপ উন্মোচন করেছে’।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়াকে ‘মানবজীবন, আন্তর্জাতিক আইন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ফ্রান্স তার অংশীদারদের সঙ্গে এই লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।”

আক্রমণটিকে ‘বর্বর’ বলে বর্ণনা করে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, “আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন করে রাশিয়া আগ্রাসী ছিল এবং এখনও আছে।”

তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। হামলা বন্ধ না হওয়া এবং ইউক্রেনের শর্তাবলী অনুসারে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইউরোপ অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে এবং রাশিয়ার ওপর শক্তিশালী চাপ বজায় রাখবে।”

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পেয়ে জাতিসংঘ প্রধান ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং হতবাক’।

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক বস্তুর ওপর আক্রমণ নিষিদ্ধ।” তিনি আরো বলেন, “এই ধরনের যেকোনো আক্রমণ, যেখানেই ঘটুক না কেন, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

রবিবারের জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল চলতি বছরে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ।

চলতি মাসের শুরুতে ৪ এপ্রিল ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরে আরেকটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০ জন নিহত এবং ৬১ জন আহত হন। সেসময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল যে, তারা একটি রেস্তোরাঁয় ‘ইউনিট কমান্ডার এবং পশ্চিমা প্রশিক্ষকদের’ একটি সভা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

তবে এর স্বপক্ষে রাশিয়া কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি ।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ