সারাদেশে ‘সাবধানে অনলাইনে’ কর্মসূচি
Published: 15th, March 2025 GMT
জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটক নিজস্ব উদ্যোগে ‘সাবধানে অনলাইনে’ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশি তরুণদের অনলাইনে নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণে সচেতন করার লক্ষ্যে এমন প্রচারণা কাজ করে। সারাদেশে উদ্যোগটি লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীকে অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করেছে বলে জানানো হয়।
অনলাইন নিরাপত্তা, টিকটক সেফটি টুলস ও ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্বের বিষয়ে কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যাম্বাসাডররা কমিউনিটিতে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের পর দেশের ৬৪ জেলায় ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করেন। ওইসব সেশনে তরুণ-তরুণীরা অংশ নেন। বক্তারা অনলাইন হুমকি, ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন। সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উদ্যোগটি সহায়ক হিসেবে কাজ করছে বলে জানানো হয়।
সাবধানে অনলাইনে বিশেষ প্রচারণার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সাবধানে অনলাইনে প্রচারণা প্রমাণ করে, তরুণরাই ডিজিটাল নিরাপত্তার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি।
অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটক কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে অপিনিয়ন আর্টিকেল, প্রেস রিলিজ, এসবিসিসি কনটেন্ট ছাড়াও কয়েকটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক প্রচারণা অন্যতম।
এসব উদ্যোগ সাধারণ জনগণের মধ্যে অনলাইন নিরাপত্তা ও সাইবার আক্রমণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডর ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন কর্মসূচি ছিল প্রচারণার বিশেষ উদ্দেশ্য। সারাদেশে ২৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালার মাধ্যমে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অনলাইন নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে সম্যক ধারণা নিয়েছে।
ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন শেষে আটটি বিভাগে ডিভিশনাল পর্বে ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা সাফল্য, অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও মতামত উপস্থাপন করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে।
সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।