ফেক আইডিতে গৃহবধূর নামে আপক্তিকর পোস্ট, প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগে
Published: 15th, March 2025 GMT
বন্দরের দাশেরগাঁয়ের এক গৃহবধূর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ন ছবি ও পোস্ট ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে গৃহবধূর প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গৃহবধূ রেখা আক্তার জানান, ব্রম্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার জলিকান্দি গ্রামের আনোয়ার হক ইদ্রিসের ছেলে জানে আলম জনির সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের পর ৭ বছর সংসার জীবন কাটে। আমাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার প্রাক্তন স্বামী জনি পরকিয়ার লিপ্ত হয়ে পড়ার পর আমার সাথে তার বিক্ততা বাড়ে।
পরে আমি অনেক অত্যাচারের শিকার হয়ে অবশেষে গত বছরের ৪ জুন আমি জনিকে তালাক দেই। পরে আমি গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আমি বন্দরের দাশেরগাঁও এলাকার সানজিদের সাথে বিয়ে হয়। আমার নতুন ভাবে বিয়ে হওয়ার পর আমার বর্তমান স্বামীর নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে নানা কুৎসা ও প্রভাকান্ডা ছড়াচ্ছে।
শুধু তাই নয় রেখার প্রাক্তন স্বামী জনি রেখার বতর্মান স্বামী সানজিদের মোবাইল নাম্বার, রেখার মোবাইল নাম্বার ও রেখারা ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন মানুষ সেই সকল ফোন নাম্বারে বিরক্ত করে।
এ ছাড়াও ফেক আইডি দিয়ে বিভিন্ন মানুষের ছবি দিয়ে আপক্তিকর পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছে। রেখা আরও জানান, তিনি সাইবার নিরপত্তা আইনে মামলা করবেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, বতর্মানে আমরা সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। তাই দ্রুত লম্পট জনির গ্রেফতার দাবি করছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে: টিউলিপ
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি ও ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে, এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।’ খবর-বিবিসি
বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সোমবার লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনও এর জবাব দেয়নি।’
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা, সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অন্য অভিযোগে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। মামলায় শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।
টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। কেয়ার স্টারমার অফিসিয়াল চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বলেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি এবং আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।’