বন্দরে ফ্যাসিস্ট দোসর দেলোয়ার প্রধানের পেতাত্মারা বহাল তবিয়তে
Published: 15th, March 2025 GMT
বন্দরে ফেসিস্ট সরকারের দোসর হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান গ্রেপ্তার হলেও রহস্য জনক কারনে তার পেতাত্মারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক মেম্বারা জানায়,সম্প্রতি সময়ে ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন দেলোয়ার প্রধান বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে অপরাধ সম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামান প্রধান,ক্যাশিয়ার আসাদ মাষ্টার ও সন্ত্রাসী আশিকগং ফের বেপরোয়া হয়ে উঠে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান একজন চতুর প্রকৃতির লোক। সে ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারদের ম্যানেজ করে তার পেতাত্মা জামান মেম্বারকে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করে।
দেলোয়ার প্রধান জেল হাজতে থাকার কারনে তার বিশ্বস্ত লোক জামান প্রধান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করে। তারপর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের ক্যাশিয়ার আসাদ মাষ্টার ও সন্ত্রাসী আশিক কলাগাছিয়া ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রন নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
আওয়ামীলীগ সরকার শাসন আমলে চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে ক্যাশিয়ার আসাদ মাষ্টার ও আশিকগং কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের অনুসারী জামান প্রধানের বিরুদ্ধে অনস্তা এনেছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাধরন মেম্বাররা।
ওসমান পরিবারের দোসরদের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপি নেতা নিহত
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ (৫৫)। তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন রশিদ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অমিত হাসান। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা। কালারমারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।
নিহত রশিদের ভাতিজা জাহেদ হাসান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় একটি পুকুরপাড়ে তাঁর চাচা আবদুর রশিদের সঙ্গে অমিত হাসানের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে অমিত হাসান ও তাঁর বড় ভাই কামরুল হাসান লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আবদুর রশিদকে আহত করেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এখলাছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত আবদুর রশিদ ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতার নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে অমিত হাসানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুল হাসানকে আটক করেছে। অমিত হাসানকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।