উপদেষ্টা আসিফের আশ্বাসে ইমির কর্মসূচি স্থগিত
Published: 15th, March 2025 GMT
ধর্ষণের বিচারসহ পাঁচ দাবিতে গত আট দিন ধরে শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের আশ্বাসে তিনি কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমি সমকালকে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শাহবাগে আসেন। এ সময় আমাদের পাঁচ দফা দাবির প্রত্যেকটি সুনির্দিষ্টভাবে সময় উল্লেখ করে পূরণের আশ্বাস দেন তিনি। তাঁর প্রতি আস্থা রেখে আমি আপাতত আমার অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আশা করছি আপাতত আর রাস্তায় থাকতে হবে না। এরপরও যদি প্রয়োজন হয় আবার, বারবার রাস্তায় নেমে আসব।’
সাত দিন টানা অবস্থানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শরীর একেবারে ভেঙে পড়েছে। বিশ্রাম দরকার। সবাই আমার, আমার সহযোদ্ধারা যারা আজকে আট দিন সবসময় আমাকে আগলে রেখেছেন, আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন।
এর আগে গত ৮ মার্চ তিনি শাহবাগে লাগাতার অবস্থান করা শুরু করেন। এরপর নানান পর্যায় থেকে নানাজন তার সঙ্গে এসে সংহতি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শামসুন নাহার হল সংসদের নির্বাচিত ভিপি। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। পরে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিতে আর যোগ দেননি।
তার দাবির মধ্যে রয়েছে- ধর্ষণ ও বলাৎকারের সম্পূর্ণ বিচার কার্যক্রম নিম্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করতে হবে এবং দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে। প্রতিটি থানায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নারী ও শিশু নির্যাতন একটি ইমারজেন্সি ক্রাইসিস রেস্পন্স টিম গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে থানার অভ্যন্তরে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা-২৪ সংশোধন করে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।
নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ প্রস্তুকে নৈতিক শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা পাঠদানের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সারাদেশে ‘সাবধানে অনলাইনে’ কর্মসূচি
জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটক নিজস্ব উদ্যোগে ‘সাবধানে অনলাইনে’ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশি তরুণদের অনলাইনে নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণে সচেতন করার লক্ষ্যে এমন প্রচারণা কাজ করে। সারাদেশে উদ্যোগটি লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীকে অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করেছে বলে জানানো হয়।
অনলাইন নিরাপত্তা, টিকটক সেফটি টুলস ও ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্বের বিষয়ে কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যাম্বাসাডররা কমিউনিটিতে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের পর দেশের ৬৪ জেলায় ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করেন। ওইসব সেশনে তরুণ-তরুণীরা অংশ নেন। বক্তারা অনলাইন হুমকি, ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন। সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উদ্যোগটি সহায়ক হিসেবে কাজ করছে বলে জানানো হয়।
সাবধানে অনলাইনে বিশেষ প্রচারণার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সাবধানে অনলাইনে প্রচারণা প্রমাণ করে, তরুণরাই ডিজিটাল নিরাপত্তার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি।
অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটক কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে অপিনিয়ন আর্টিকেল, প্রেস রিলিজ, এসবিসিসি কনটেন্ট ছাড়াও কয়েকটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক প্রচারণা অন্যতম।
এসব উদ্যোগ সাধারণ জনগণের মধ্যে অনলাইন নিরাপত্তা ও সাইবার আক্রমণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডর ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন কর্মসূচি ছিল প্রচারণার বিশেষ উদ্দেশ্য। সারাদেশে ২৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালার মাধ্যমে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অনলাইন নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে সম্যক ধারণা নিয়েছে।
ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন শেষে আটটি বিভাগে ডিভিশনাল পর্বে ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা সাফল্য, অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও মতামত উপস্থাপন করেন।