ঢাকা মহানগরীতে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের পুলিশি কার্যক্রম আরো জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রমে ১৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

ডিএমপি জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (১৪ মার্চ) ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। এর মধ্যে ৩৪০টি টিম রাতের সময় এবং ৩২৭টি টিম দিনের বেলায় দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি এবং হোন্ডা পেট্রোল টিম ছিল ১১৫টি। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

আবাহনীর জয়ের দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ

স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা শুরু

গত ২৪ ঘণ্টায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ডিএমপি মোট ১৯৬ জন গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১১ জন ডাকাত দলের সদস্য, ১৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারী, ৩ জন চাঁদাবাজ, ৮ জন চোর, ১৪ জন মাদক কারবারি, ২৭ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামি এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছেন।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই

বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ডিটেকশনের (শনাক্তের) ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম (এই সময়ের মধ্যে) দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব, ইনশা আল্লাহ।’

তবে ডিএমপি কমিশনার এমন কথা বললেও পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহপাঠীরা ‘অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারার’ কথা জানান। তাঁরা বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই যুবক থাকতেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে আর হলে দেখা যায়নি।

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল শোলা দিয়ে নতুন করে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’

সম্পর্কিত নিবন্ধ