টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। শনিবার (১৫ মার্চ) মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, ৩ ভাই ও ৩ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়, বন্ধু ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

আরো পড়ুন:

বিমান টিকিটে দুর্বৃত্তপনা, অনুসন্ধান কর‌ছে সরকার: স্বরাষ্ট্র সচিব

বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পিআইএ-তে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েন। ১৯৭২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন এবং তিনি বিমান বাংলাদেশে পাইলট হিসেবে যোগ দেন।২০০৩ সালে তিনি অবসরে যান।

ক্যাপ্টেন মাহমুদের মা মাহমুদা খাতুন ২০১৪ ‘রত্মাগর্ভা মা’ হিসেবে সম্মানীত হন। তার মেঝ ছেলে ড.

মাহবুব হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত, সেঝ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোসাররফ হোসেন সেনাবাহিনীতে পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোট ছেলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মঞ্জুর হোসেনও সেনাবাহিনীতে পাইলট ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

ক্যাপ্টেন মাহমুদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। ক্যাপ্টেন মাহমুদের একমাত্র ছেলে শাহরিয়ার মাহমুদ ফরাজী বাংলাদেশ বিমানের একজন পাইলট।

ঢাকা/হাসনাত/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ইলট

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলামের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত  উদ্ভিদবিজ্ঞানী অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলামের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক শামসুল ইসলামের পরিবার এই স্মরণ সভার আয়োজনে করে। এতে তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবন, গবেষণা, শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান এবং ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও পরিবারের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অধ্যাপক ইসলামের মেয়ে অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ সবাইকে স্বাগত জানান। তিনি প্রয়াত পিতার জন্য ক্ষমা ও দোয়া চান। এরপর তিনি সঞ্চালক হাসিব ইরফানুল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দেন। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে হাসিব ইরফানুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসিনা খান এবং জাপানের ইওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবিদুর রহমানের শোক বার্তা পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা অধ্যাপক শামসুল ইসলামের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এবং দেশের বিজ্ঞান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শমসের আলী তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।

স্মরণ সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মিহির লাল সাহা, বিসিএসআইআর-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম খান, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নাশিদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল করীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুল রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বিএপিটিসিবির প্রতিনিধি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং আইইউবির সাবরিনা এম ইলিয়াস প্রয়াত অধ্যাপক শামসুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অধ্যাপক শামসুল ইসলামের স্মরণ সভায় বোটানিক্যাল সোসাইটি ও অবসরপ্রাপ্ত উদ্ভিদবিজ্ঞান শিক্ষকেরাও অংশ নেন।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি মুনির হাসান এবং এএসআই স্কুল অব লাইফের সমন্বয়ক মোর্শেদা আক্তার অধ্যাপক শামসুল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

সভায় অধ্যাপক শামসুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে তাঁর বড় ছেলে সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ ইসলাম এবং মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক জেবা ইসলাম পিতার স্মৃতিচারণ করেন।

অধ্যাপক শামসুল ইসলামের ছোট ছেলে ও যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে কর্মরত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার খালিদ ইসলাম তাঁর বাবার জন্য দোয়া চান। সবশেষে অধ্যাপক ইউসুফ ইসলাম দোয়া পরিচালনা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ