বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মা আবার বিয়ে করে নতুন সংসারে চলে গেছেন। এতে অসহায় হয়ে পড়ে ছোট দুই শিশু। বছর তিনেক হলো দাদার বাড়িতে বেড়ে উঠছে দুজন। একটি ছোট মুদিদোকান চালিয়ে দাদা যা আয় করেন, তা দিয়ে খেয়ে না–খেয়ে জীবন চলছে তাদের। ফেসবুকে এই অসহায় দুই শিশুর ভিডিও দেখে তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুর গ্রামের রাজু প্রামাণিক এই দুই শিশুর দাদা। সম্প্রতি এই দুই শিশুকে নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও নজরে পড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তাঁর নির্দেশে আজ শনিবার সকালে ‘আমরা বিএনপির পরিবার’–এর পক্ষ থেকে দুই শিশুর জন্য নগদ আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই শিশুর জন্য মাসিক আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজু প্রামাণিকের ছেলে আলতাফ প্রামাণিক (৩৫) দেড় বছরের এক ছেলেশিশু ও গর্ভবতী স্ত্রী রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। কয়েক মাস পর স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন। তবে তিনি বেশি দিন সন্তানদের কাছে থাকেননি। কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়ে করে নতুন সংসারে চলে যান।

‘আমরা বিএনপির পরিবার’–এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুই শিশু ও তাদের দাদার সঙ্গে দেখা করে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা ও তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপির পরিবার’-এর সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য জাহিদুল ইসলাম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর সদস্য মাসুদ রানা, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার দলের নেতা–কর্মীদের পাশে থাকার প্রত্যয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে সেল গঠন করে বিএনপি। এই সেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ত র ক রহম ন ব এনপ র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টায় শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে সেখানে সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। অবরোধ কর্মসূচি শেষে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মানহীনতার অভিযোগ তুলে তা বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখানে মানহীনতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও বৈষম্যমূলক। আমাদের মেডিকেল কলেজে বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে রয়েছেন ৫৫ শিক্ষক এবং কিউরেটর রয়েছেন ২ জন। অর্থাৎ প্রতি ছয়জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। তাই শিক্ষক সংকটের মতো যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।
মূলত বিগত পতিত সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এই ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা করেছেন। তাতে হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও মানসিক স্বাস্থ্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয় ব্যাচের 
শিক্ষার্থী রিংকু দেবনাথ, তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়েল সরকার, চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিমুর রিয়াজসহ অন্যরা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ