যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে মিসৌরিতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মিসৌরির গভর্নর শনিবার আরো তীব্র আবহাওয়ার আশঙ্কাসহ সতর্কবার্তা করেছেন। রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিষেবা একাধিক অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর দিয়েছে।

মিসৌরি স্টেট হাইওয়ে পেট্রোল এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছে, “টহল দেওয়া এবং স্থানীয় সংস্থাগুলো দুর্গতদের সহায়তা করার জন্য এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।”

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ধ্বংসাত্মক ঝড় টেক্সাস এবং ওকলাহোমাতেও আঘাত হেনেছে। ঝড়ের প্রভাবে শতাধিক দাবানল সৃষ্টি হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি সেমি-ট্রেলার ট্রাক উল্টে গেছে।

ওকলাহোমা ফরেস্ট্রি সার্ভিসের মতে, ৮৪০ রোড ফায়ার নামে পরিচিত এই আগুনের মধ্যে একটি ইতিমধ্যেই ২৭ হাজার ৫০০ একর জমি পুড়িয়ে দিয়েছে। সংস্থাটি প্যানহ্যান্ডেলের জন্য ‘লাল পতাকা’ সতর্কতা জারি করেছে, যা চরম অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।

জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (নোয়া) জানিয়েছে, মিসিসিপি রাজ্য এখন টর্নেডোর সম্ভাব্য আঘাতের জন্য উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আজও প্রাপ্যটুকু পেল না নরিয়ার গণসমাধিস্থল

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এক ঐতিহাসিক নিদর্শন মৌলভীবাজার জেলার নরিয়ার গণসমাধিস্থল। এই গণসমাধিস্থলে শায়িত শহীদদের স্মরণে আজও স্থাপন করা হয়নি একটি স্মৃতিসৌধ।
পূর্বে ধলিয়া বিল, পশ্চিমে বিস্তীর্ণ বড়হাওর। তার মধ্যখানে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নের সবুজে আচ্ছাদিত নরিয়া গ্রামের অবস্থান। এখন ওই গ্রামটিকে দুই ভাগ করে বয়ে গেছে সরকার বাজার-কাগাবলা সড়ক। কৃষিনির্ভর এ জনপদের মানুষের কাছে ১৯৭১ সালের ৯ মে একটি বিভীষিকাময় দিন। এদিন দুপুরে স্থানীয় ২৬ জন শ্রমজীবী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
সেই হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের সমাধিস্থলটি অযত্নে পড়ে আছে কথাইখালীর (প্রকাশিত চিন্তামনি খাল) পাশে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেখানে নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে এক দিন হয়তো হারিয়ে যাবে শহীদদের এই গণকবরের শেষ চিহ্ন।
স্থানীয়রা জানান, সে সময় বোরো কাটা ও আউশ বোনায় কাজে ব্যস্ত ছিল নরিয়াবাসী। সেখান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় নিরীহ কৃষক ও শ্রমিকদের। পরে কথাইখালী খালের পারে (প্রকাশিত চিন্তামনি খাল) এক টুকরো জমিতে গর্ত করে একই স্থানে সমাহিত করা হয় শহীদদের।
সেই সমাধিস্থলে নির্মাণ করা হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ। সমাধিস্থলে যাতায়াতের জন্য ভালো একটি রাস্তাও নেই। গবেষক দীপঙ্কর মোহান্ত বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে সন্ধ্যা রানী দেব বীরাঙ্গনার তালিকাভুক্ত ভাতা পাচ্ছেন। নির্যাতিত জয়ন্তী বৈদ্য ও মঙ্গলা বৈদ্য চার বছর ধরে ৮ হাজার টাকা করে চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছেন। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা গণসমাধিস্থলটি ইতিহাসের অংশ। এটি সংরক্ষণ জরুরি।
জাসদ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হক মুক্তিযুদ্ধে নরিয়া গ্রামবাসীর ত্যাগের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, কামিনী দেবের উত্তরাধিকারীরা গণসমাধিস্থলের জন্য ১৬ শতক ভূমি দান করে যান। সেই ভূমির কিছু অংশে ২০১১ সালে প্রাচীর দিয়ে সমাধিস্থল চিহ্নিত করা হয়। বাকি জমি ভূমিদস্যুদের দখলে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজউদ্দিন বলেন, সম্প্রতি এ উপজেলার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ