নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল
Published: 15th, March 2025 GMT
নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে শহরের স্কাই ভিউ রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াসিন মোহম্মাদ সিথুনের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম আপেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.
আরো পড়ুন:
আছিয়ার মৃত্যুতে দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে: শফিকুর রহমান
গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা পেলেন সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মামুনুর রশীদ পাটোয়ারী।
ঢাকা/সিথুন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজও প্রাপ্যটুকু পেল না নরিয়ার গণসমাধিস্থল
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এক ঐতিহাসিক নিদর্শন মৌলভীবাজার জেলার নরিয়ার গণসমাধিস্থল। এই গণসমাধিস্থলে শায়িত শহীদদের স্মরণে আজও স্থাপন করা হয়নি একটি স্মৃতিসৌধ।
পূর্বে ধলিয়া বিল, পশ্চিমে বিস্তীর্ণ বড়হাওর। তার মধ্যখানে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নের সবুজে আচ্ছাদিত নরিয়া গ্রামের অবস্থান। এখন ওই গ্রামটিকে দুই ভাগ করে বয়ে গেছে সরকার বাজার-কাগাবলা সড়ক। কৃষিনির্ভর এ জনপদের মানুষের কাছে ১৯৭১ সালের ৯ মে একটি বিভীষিকাময় দিন। এদিন দুপুরে স্থানীয় ২৬ জন শ্রমজীবী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
সেই হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের সমাধিস্থলটি অযত্নে পড়ে আছে কথাইখালীর (প্রকাশিত চিন্তামনি খাল) পাশে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেখানে নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে এক দিন হয়তো হারিয়ে যাবে শহীদদের এই গণকবরের শেষ চিহ্ন।
স্থানীয়রা জানান, সে সময় বোরো কাটা ও আউশ বোনায় কাজে ব্যস্ত ছিল নরিয়াবাসী। সেখান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় নিরীহ কৃষক ও শ্রমিকদের। পরে কথাইখালী খালের পারে (প্রকাশিত চিন্তামনি খাল) এক টুকরো জমিতে গর্ত করে একই স্থানে সমাহিত করা হয় শহীদদের।
সেই সমাধিস্থলে নির্মাণ করা হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ। সমাধিস্থলে যাতায়াতের জন্য ভালো একটি রাস্তাও নেই। গবেষক দীপঙ্কর মোহান্ত বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে সন্ধ্যা রানী দেব বীরাঙ্গনার তালিকাভুক্ত ভাতা পাচ্ছেন। নির্যাতিত জয়ন্তী বৈদ্য ও মঙ্গলা বৈদ্য চার বছর ধরে ৮ হাজার টাকা করে চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছেন। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা গণসমাধিস্থলটি ইতিহাসের অংশ। এটি সংরক্ষণ জরুরি।
জাসদ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হক মুক্তিযুদ্ধে নরিয়া গ্রামবাসীর ত্যাগের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, কামিনী দেবের উত্তরাধিকারীরা গণসমাধিস্থলের জন্য ১৬ শতক ভূমি দান করে যান। সেই ভূমির কিছু অংশে ২০১১ সালে প্রাচীর দিয়ে সমাধিস্থল চিহ্নিত করা হয়। বাকি জমি ভূমিদস্যুদের দখলে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজউদ্দিন বলেন, সম্প্রতি এ উপজেলার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন তিনি।