Prothomalo:
2025-03-15@19:01:16 GMT

কেন দরুদ পাঠ করব

Published: 15th, March 2025 GMT

মহানবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো তাঁর প্রতি দরুদ পড়া। দরুদ হলো একটি সম্ভাষণ। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর জন্য আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ ও শান্তি প্রার্থনাই হলো দরুদ। দরুদ শব্দটি ফারসি। আরবি ‘সালাত’ শব্দটি যখন রাসুল (সা.)-এর প্রতি অনুগ্রহ কামনার জন্য ব্যবহৃত হয়, ফারসিতে তখন তাকে দরুদ বলে। দরুদ পড়া সহজ এবং সওয়াবও অনেক। কোরআনে আছে, আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর জন্য দোয়া করেন। হে বিশ্বাসীগণ, তোমরাও নবীর জন্য দোয়া করো এবং পূর্ণ শান্তি কামনা করো। (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)

সাহাবিরা একবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমরা কীভাবে আপনার ওপর দরুদ পাঠ করবো?’ তিনি তখন সাহাবিদের ‘দরুদে ইবরাহীম’ শেখান; যা এখন আমরা নামাজের শেষ বৈঠকে পাঠ করি। বুখারি, হাদিস: ৩,৩৬৯)

নবীজির (সা.

) ওপর দরুদ পাঠ স্বাভাবিক যেকোনো সময় করা যায়। কোথাও বসে বসে বা হাঁটতে হাঁটতেও দরুদ পাঠ করা যায়। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর এক বার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তার ওপর দশ বার রহম করেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭৯৮)

আরও পড়ুনমুঠোফোনে দেখা যাবে মদিনার মসজিদে নববির ভেতরে-বাইরে০৫ মার্চ ২০২৫

আরেকটি হাদিস থেকে জানা যায়, তাঁর উপর একবার দরুদ পড়লে আল্লাহ দশটি পাপ মাফ করেন, আল্লাহ দশ ধাপ মর্যাদা উন্নীত করেন। (নাসাঈ, হাদিস: ১,২৯৭)

পৃথিবীতে রাসুল (সা.)-এর সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ তো আর নেই, পরকালে তার সান্নিধ্য লাভের অন্যতম উপায় হলো অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা। তিনি বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমার কাছের ব্যক্তি সে হবে, যে আমার ওপর বেশি দরুদ পড়েছে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৪৮৪)

নবীজির (সা.) নাম শুনলে দরুদ পড়তে হয়। বলতে হয় ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এর অর্থ: আল্লাহ তাঁকে অনুগ্রহ করুন এবং শান্তি দিন। দরুদ না পড়লে কী হবে? তিনি বলেন, ’তার নাক ভূলুণ্ঠিত হোক, যে আমার নাম শুনেও দরুদ পাঠ করেনি!’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)

আরও পড়ুনকোরআন তিলাওয়াতে সিজদার নিয়মাবলী০৫ মার্চ ২০২৫

দরুদ পাঠ একটি স্বতন্ত্র ইবাদতও বটে। সময় করে যেমন কোরআন তিলাওয়াত করা হয় , নফল নামাজ পড়া হয়, বইপত্র পড়ে জ্ঞানার্জন করা হয়; দিনের কিছু অংশ দরুদ পাঠে নিয়োজিত থাকা উচিত। সকালে হাঁটার সময়, মসজিদে নামাজে যেতে যেতে, টেবিলে বসে খাবারের অপেক্ষার সময়, ঘুমানোর আগে বিছানায়, রান্না করার ফাঁকে, ক্লাসের অবসরে, ভিড় বাসে জ্যামে থেমে আছে যখন, তখনো দরুদ পাঠ করা যায়।

ছোট ও সংক্ষিপ্ত নানান রকমের দরুদ আছে। একটি হলো দরুদে ইবরাহীম, যা আমরা প্রতি বেলার নামাজে পড়ি। পড়তে খুব বেশি সময়ও লাগে না। কিন্তু বিনিময় অনেক বেশি। সাহাবি উবাই ইবনে কাব (রা.) একদিন জিজ্ঞেস করেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমি তো অনেক বেশি দরুদ পড়ি। আপনার ওপর দরুদ পড়ায় আমার কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখব?’

রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমার যতক্ষণ ইচ্ছা।’

‘এক-চতুর্থাংশ?’

আরও পড়ুন‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কখন পড়ব০৪ মার্চ ২০২৫

তোমার যতক্ষণ ইচ্ছা; তবে এর চেয়ে বেশি হলে ভালো হয়।’

‘অর্ধেক সময়?’

‘তোমার যতক্ষণ ইচ্ছা; তবে এর চেয়ে বেশি হলে ভালো হয়।’

‘দুই-তৃতীয়াংশ সময়?’

‘তোমার যতক্ষণ ইচ্ছা; তবে এর চেয়ে বেশি হলে ভালো হয়।’

‘তাহলে আমার পুরো সময় দরুদ পাঠে কাটিয়ে দেব!’

এবার তিনি বললেন, ‘তোমার চিন্তা ও কষ্ট তাতে যথেষ্ট হবে, তবে এমন করলে তোমার পাপগুলো ক্ষমা করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৪৫৭)

আরও পড়ুননামাজ: দাসের মহিমা০৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দর দ প ঠ ক র জন য আল ল হ র দর দ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

কাবাডির সাফল্য এলো যার হাত ধরে

 ৭ মার্চ ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই দশক পর এশিয়ান কাবাডিতে পদকজয়ী বাংলাদেশ দলে রেইডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন অধিনায়ক শ্রাবণী মল্লিক। নানান চড়াই–উতরাই পেরোনো এই স্বপ্নবাজকে নিয়ে লিখেছেন ইমাম হোসেন মানিক 


এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বশেষ ২০০৫ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল। দীর্ঘ দুই দশক পর ৭ মার্চ তেহরানে ষষ্ঠ এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ওইদিন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জেতে ৪২-২৭ পয়েন্টে। তবে সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইরানের কাছে হেরে যায় ৪১-১৮ পয়েন্টে। টুর্নামেন্ট শেষ হয় ৮ মার্চ। এতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
ইতিহাসে চোখ
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। এই খেলাকে ঘিরে দেশে কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন কোনো জৌলুস নেই বললেই চলে! এশিয়ান কাবাডিতে ছেলেরা সর্বশেষ পদক জিতেছিলেন ১৯৮৮ সালে আর এশিয়ান গেমসে ২০০৬ সালে। সেই তুলনায় এশিয়ান পর্যায়ে মেয়েদের এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও বড় কিছুর আশা জাগানোর মতোই। ২০০৫ সালে মেয়েদের প্রথম আসরেই ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই দলের অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন বর্তমান নারী কাবাডি দলের কোচ। কোচের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ আবদুল জলিল। পুরোনো নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ওই আসরের সেমিফাইনালে ভারত ৫৭-২৪ পয়েন্টে শ্রীলঙ্কাকে এবং জাপান ৩৮-১৪ পয়েন্টে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। পরে সেমিফাইনালে হেরে গেলেও শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দু’দলকেই ব্রোঞ্জজয়ী দেখানো হয়। ১৯৮০ সাল থেকে হচ্ছে এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ। যদিও নারীদের অংশগ্রহণ ২০০৫ থেকে। আগের পাঁচবারের চারবারই সোনা জেতে ভারত। একবার চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথম আসরে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা ব্রোঞ্জ নিয়ে দেশে ফেরেন। সেবার ভারতের হায়দরাবাদে টুর্নামেন্টের 
সেমিফাইনালে জাপানের কাছে ৩৮-১৪ পয়েন্টে হেরেছিলেন তারা। এরপর ২০০৭, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আর অংশ নেয়নি বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে
এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। যদিও ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে। তবে গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচে 
 মালয়েশিয়াকে ৫২-১২ ব্যবধানে ও থাইল্যান্ডকে ৪২-২৭ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল ও ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেন লাল-সবুজের মেয়েরা। সেমিতে অবশ্য স্বাগতিক ইরানের কাছে হেরে যায় ৪১-১৮ ব্যবধানে। তবে কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা এতেই সন্তুষ্ট। তাঁর মতে, ‘নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের এই অর্জন অনেক গর্বের। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা পদক হারিয়েছিলাম। আবার ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছি। আমাদের জন্য কিছু করলে আমরা দেশকে আরও কিছু দিতে পারব।’ অধিনায়ক শ্রাবণী মল্লিক বলেন, ‘আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে আমরা খেলেছি। এসব দলের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমাদের মনোবল ছিল। আমরা মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডকে হারাতে পারবো। সবাই খুব ভালো খেলছে। তাই তাদের হারাতে পেরেছি। আসলে অনেকদিন আমাদের কোনো সাফল্য ছিল না। কাবাডিতে সাফল্য খরা ছিল। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা তার অনেকটাই উৎরে যেতে পেরেছি।’
শ্রাবণী যেভাবে এলেন কাবাডিতে
শ্রাবণী মল্লিকের জন্ম ও বেড়ে ওঠা নড়াইলে। বাবা রতন মল্লিক জড়িত কৃষিকাজের সঙ্গে। মা গৃহিণী। বড় দুই ভাইয়ের একজন টাইলস মিস্ত্রির কাজ করেন। অন্যজন থাকেন দেশের বাইরে। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে শ্রাবণী ছোটবেলা থেকেই খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। স্থানীয় কেবিএম গার্লস হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়কালীন ফুফাতো বোন একদিন তাঁকে নিয়ে যান ক্রিকেট খেলতে। ক্রিকেট মনে ধরে না শ্রাবণীর। কিছুদিন পর স্থানীয় কোচ রবি রজিবুলের মাধ্যমে নাম লেখান কাবাডিতে। তরিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় আরেক কোচের কাছেও নেন কাবাডির পাঠ। এরপর এই স্কুল বালিকাই যোগ দেন বিজেএমসির ক্রীড়া দলে। দীর্ঘ দিন সেখানেই খেলেন তিনি। কাবাডির পাশাপাশি শটপুটও খেলতেন। বিজেএমসির হয়ে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় শটপুটে সোনাও জেতেন শ্রাবণী। শটপুটে জাতীয় পর্যায়ে ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সোনা জিতে তাক লাগিয়ে দেন এই স্বপ্নবাজ! 
প্রতিভা ও আক্ষেপ
বিজেএমসিতে স্থায়ী কোনো চাকরি ছিল না। খেলে মাসিক ভাতা পেতেন ছয় হাজার টাকা। একটা সময় বিজেএমসির ক্রীড়া দল বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ আনসার দলে যোগ দেন শ্রাবণী। আনসারের জার্সিতে লড়েন শটপুট, কুস্তি এবং কাবাডিতে। ২০১৪ সালে রোলবলের জাতীয় দলেও খেলেছেন শ্রাবণী। জাতীয় কুস্তিতে ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জেতেন তিনি। ২০১৮ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে প্রথমবার জাতীয় নারী কাবাডি দলে নাম লেখান শ্রাবণী। ২০১৯ সালে কাঠমান্ডুতে এসএ গেমসের নারী কাবাডি দলের হয়ে দেশকে ব্রোঞ্জ জেতান তিনি। জীবনের নানা বাঁক পেরিয়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে খেলছেন শ্রাবণী। তবে একটি সরকারি চাকরির আক্ষেপ এই সাহসী তরুণীর।  
তবু ঘুরে দাঁড়িয়েছেন যেভাবে
দুঃসহ জীবন পাড়ি দিয়েছেন এবং এখনও দিচ্ছেন এই দুঃসাহসী তরুণী। ২০২১ সালে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। নেন কড়া ডোজের ওষুধ। তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেড়ে যায় ওজন। তবু দমে যাননি তিনি। দেশের হয়ে খেলেন নবম বাংলাদেশ গেমস। ২০২৪ সালও তাঁর জন্য ছিল ভয়াবহ। অসুস্থতার ছোবলে ঘুরে আসেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে। দীর্ঘদিন ছিলেন হাসপাতালে। সেই দুর্বিষহ দিনে বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ডাক্তার তো বলেই দিয়েছিলেন, মাস তিনেক বাঁচতে পারেন। একা বসে কাঁদতেন। সেই কষ্টের দিন কাটিয়ে উঠেছেন নিজের মানসিক শক্তিতে ভর করে। দেশের জন্য, পরিবারের জন্য এবং নিজের স্বপ্ন ধরার জন্য তিনি ফের খেলায় ফিরেছেন। দেশের জন্য সাফল্য নিয়ে এসেছেন। 
আগামীর স্বপ্ন
আগামীর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে শ্রাবণী মল্লিক বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর কাবাডি খেলিনি। তাই আমার কাছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই আসর। তাছাড়া কাবাডি ফেডারেশনকে রেজাল্ট দিতে পেরেছি, এটি অনেক বড় কিছু আমাদের জন্য। আগামীর স্বপ্নের কথা বলতে হলে বলব, আমাদের সামনে কাবাডি বিশ্বকাপ আছে। সেই বিশ্বকাপে খেলে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে চাই দেশের জন্য। এর জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কাবাডি 
ফেডারেশনকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া 
মন্ত্রণালয়। আশা করি, এর ফলে আমাদের নারী কাবাডি দল ভালো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামনের বিশ্বকাপে ভালো অর্জন এনে দিতে পারবে দেশকে।’এমন বিশ্বাস আমাদেরও; এগিয়ে যাবে লাল-সবুজের সাহসী মেয়েরা!

সম্পর্কিত নিবন্ধ