বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন নতুনদের হাতে। দিনকয়েকের ব্যবধানে মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ও মাহমুদউল্লাহ বিদায় বলেছেন সব সংস্করণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই। দেশের ক্রিকেটের দায়িত্ব এখন নতুন একটা প্রজন্মের হাতে। তাঁরা কতটুকু এগিয়ে নিতে পারবেন, এটা নিয়ে অবশ্য সংশয়ও আছে বেশ।

কাল বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন বলেছেন, ‘নতুনরাও যোগ্য’ এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে হবে। এ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের নেতৃত্বে অন্যতম বড় নাম মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রায় এক দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তাঁর। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে মিরাজের ভাবনা কী?

দুই-আড়াই বছর বাকি আছে বিশ্বকাপের, এখন থেকেই দলের একটা সেটআপ ঠিক করতে হবে। কারা খেলবে, কোন পজিশনে খেলবে, তা নিয়ে অনুশীলন করতে হবে। খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। সবাই সবাইকে ব্যাক করতে হবে।মেহেদী হাসান মিরাজ, বাংলাদেশ

মিরপুরে মোহামেডান-লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ম্যাচের পর আজ সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘সবাইকে একটা সময় নিজের জায়গা থেকে সরে যেতে হয়। তাঁদের (আগের প্রজন্মের) যে ভূমিকা ছিল, তাঁরা বাংলাদেশকে একটা ধাপে নিয়ে এসেছেন। আমাদের কাজ থাকবে এখান থেকে আরেকটা ধাপে নিয়ে যাওয়া। আমরা এখনো একটাও ট্রফি জিততে পারিনি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেকোনো বড় টুর্নামেন্টে যেন একটা ট্রফি জিততে পারি, তখন এটা আমাদের প্রজন্মের জন্য ভালো হবে।’

প্রিমিয়ার লিগে আজ ৪ উইকেট পেয়েছেন মিরাজ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রজন ম র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ

উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।

বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র‌্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ