চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর গাবতলী টার্মিনালে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর বাস আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে বাসটি ছাড়িয়ে দেয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

পরিবহন ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান এরশাদের অভিযোগ, গাবতলী টার্মিনালে তার একটি বাস মেরামতের কাজ চলছিল। এর মধ্যে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল কবিরের নেতৃত্বে কয়েকজন সেখানে যান। তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা বাসটি আটকে রাখেন। পরে তিনি বিষয়টি দারুসসালাম থানার ওসিকে জানান। এর আগেও তার কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন একই ব্যক্তিরা। ওই ঘটনায় তিনি গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দারুসসালাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বিএনপি নেতা খাইরুল কবির সমকালকে বলেন, ওই পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছে তার বাসের সুপারভাইজার কিছু টাকা পান। সেই ব্যাপারটি মিটিয়ে ফেলার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে বলা হয়। এতদিনেও তিনি টাকা না দেওয়ায় আজ আবারও তারা গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি বাজে কথা বলায় আমি রেগে যাই। তখন তাকে বলেছি, টার্মিনালে যেন আর না দেখি। তাহলে মেরে বের করে দেব। তবে চাঁদা চাওয়া হয়নি।

দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব-উল-হাসান সমকালকে বলেন, চাঁদাবাজি নয়, দুই পক্ষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাস ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে। কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ বতল ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া

৬ বছর পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল উৎসবের রঙ, বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ  শোভাযাত্রা।

পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে এসে শেষ হয়। মহিশের গাড়ি, পালকি, মুখোশ, গ্রামীণ খেলনা, রঙিন ব্যানার, পটচিত্র ও বাদ্যযন্ত্রে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।

দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজনে আরো ছিল স্বাধীনতা চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের শিক্ষার্থী,  শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, ছাত্র ও ছাত্রী হলকে স্বতন্ত্রভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত দোকানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে পারছি। শুনেছি এর আগে ২০১৯ সালে আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে এমন আয়োজন হয়েছিল। নিজেদের হাতে স্টল সাজানো, পিঠা বানানো, বিক্রি করা। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলা সংস্কৃতির এমন প্রাণবন্ত আয়োজন আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “সারাদিন ক্যাম্পাসে একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সবাই যেন একে অপরের আপন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়।”

৬ বছর আগে ২০১৯ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষের উৎযাপন করা হলেও মাঝখানে করোনা, রোমজান থাকার কারনে গত কয়েকবছর এই উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ