রাজধানীর উত্তর ইব্রাহীমপুরে প্রতিবেশীর চলাচলের জন্য বরাদ্দ করা রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে উত্তর ইব্রাহীমপুরে মানববন্ধন করেছে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধ কমিটি মিরপুর শাখা। এতে অংশ নেন অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় বাসিন্দা মহিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর চলাচলের জন্য নির্ধারিত রাস্তা দখল করে দুটি দোকান নির্মাণ করে বছরের পর বছর ভাড়া উত্তোলন করছেন। উত্তর ইব্রাহীমপুরের ১৮৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে এই অবৈধ দোকান নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কবির চৌধুরী। বহুবার অনুরোধ করার পরও দখলদাররা জায়গা ছেড়ে দেয়নি। ফলে তিনি বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন।

বক্তারা বলেন, কোনো আইনগত অনুমতি ছাড়াই এবং রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নকশার বাইরে দোকান দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতেও রাজি নন মালিক পক্ষ। এলাকার বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একজন সার্ভেয়ার দিয়ে জমির মাপজোকের ব্যবস্থা করা হলেও অবৈধ দখলের চিত্র ফুটে উঠবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তানজিন ইসলাম, মো.

রুবেল, মো. নাহিদ, মো. ফুয়াদ, মো.  সোহাগ প্রমুখ। 

এদিকে, শান্তিপূর্ণ এই মানববন্ধনে দখলদার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপরও এলাকাবাসী মানববন্ধন অব্যাহত রাখেন বলে জানা গেছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অব ধ দ

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণ ও শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ইউজিসি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী শিক্ষক হতে পারবে কি পারবে না, এটা আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট নির্ধারণ করে দিতে পারে না। প্রশাসন রাতের বেলা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন আবার দিনের বেলা বয়ান দেন তারা আওয়ামী বিরোধী। আওয়ামী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আপনারা সুশীলগীরি দেখাবেন না। এরা শ্রেণিকক্ষে ভিন্ন মতে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে হেনস্থা ও পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দিত। ইউজিসির নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কেননা আপনারা নীতিমালা সংযোজন করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেন। নিজেদের ছেলে-মেয়ে এমনকি জামাতাকে পর্যন্ত শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেন।
 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকে যদি ৫ আগস্ট না আসত এবং আওয়ামী সরকারের পতন না হত, তাহলে যে শিক্ষকগুলো আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে তাদের অবস্থা আওয়ামী শিক্ষকরা কী করত? তারা এত সহনশীলতা দেখাত না। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আজ খারাপ হত। অথচ বিপ্লবের দীর্ঘ প্রায় নয় মাস পার হলেও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই দ্রুত তাদের অপসারণ করতে হবে।
 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবার রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এটি আমরা কখনো ভাবিনি। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে ব্যথিত হওয়া ছাড়া কিছু বলার নেই। উপাচার্য স্যারের কাছে আমরা যে সংস্কারের দাবিগুলো জানিয়েছি, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নয়তো আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি জি এ সাব্বির, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি আমান উল্লাহ, ছাত্রদল কর্মী নাসিম আহমেদ প্রমুখ। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএনসিসি প্রশাসকের গণশুনানিতে দু’পক্ষের মারামারি
  • প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের
  • আবারও রাজপথে শিক্ষার্থীরা
  • ছাত্রী হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
  • কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
  • নূর মোস্তফার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে মানববন্ধন
  • রাবিতে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবি
  • দখলদারদের ছাড় দেওয়া হবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক 
  • রাবির সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
  • সেনা প্রত্যাহার ছাড়া যুদ্ধবিরতি নয়: হামাস