উত্তর ইব্রাহীমপুরে অবৈধ দোকান নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 15th, March 2025 GMT
রাজধানীর উত্তর ইব্রাহীমপুরে প্রতিবেশীর চলাচলের জন্য বরাদ্দ করা রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে উত্তর ইব্রাহীমপুরে মানববন্ধন করেছে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধ কমিটি মিরপুর শাখা। এতে অংশ নেন অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় বাসিন্দা মহিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর চলাচলের জন্য নির্ধারিত রাস্তা দখল করে দুটি দোকান নির্মাণ করে বছরের পর বছর ভাড়া উত্তোলন করছেন। উত্তর ইব্রাহীমপুরের ১৮৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে এই অবৈধ দোকান নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কবির চৌধুরী। বহুবার অনুরোধ করার পরও দখলদাররা জায়গা ছেড়ে দেয়নি। ফলে তিনি বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
বক্তারা বলেন, কোনো আইনগত অনুমতি ছাড়াই এবং রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নকশার বাইরে দোকান দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেখাতেও রাজি নন মালিক পক্ষ। এলাকার বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একজন সার্ভেয়ার দিয়ে জমির মাপজোকের ব্যবস্থা করা হলেও অবৈধ দখলের চিত্র ফুটে উঠবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তানজিন ইসলাম, মো.
এদিকে, শান্তিপূর্ণ এই মানববন্ধনে দখলদার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপরও এলাকাবাসী মানববন্ধন অব্যাহত রাখেন বলে জানা গেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অব ধ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মহিলা জামায়াতের মানববন্ধন
ধর্ষণের মামলায় ফাঁসির সাজা নির্ধারণসহ নারী ও শিশু নিপীড়ন রোধে পাঁচ দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ। এ দাবিতে শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা। জামায়াতের হাজারখানেক নারী নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতের নারী নেতাকর্মীদের এতদিন সভা, সমাবেশ, মিছিলের মতো প্রকাশ্য কর্মসূচির দেখা যায়নি। নারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় বার্তা পৌঁছাতেন। ৫ আগস্টের পরও নারী নেতাকর্মীরা ছিলেন আড়ালে। তবে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নারী নেতাকর্মীদের সামনে আনতে শুরু করেছে জামায়াত। প্রথমবারের মতো রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্য কর্মসূচি করছেন নারীরা।
শনিবার জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘বেঁচে থাকা ও নিরাপত্তার অধিকার দাও', ‘ধর্ষকদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে ফাঁসি চাই, দিতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি কর, করতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলায় জামিন বিধান বাতিল কর, করত হবে’, ‘ধর্ষণ মামলায় এক বিধান, এক শাস্তি; ধর্ষককে ফাঁসি দিবি, দিতে হবে’।
জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি নুরন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, ‘মাগুরার শিশু আছিয়া হত্যার মামলার রায় এক সাপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। ধর্ষণের একমাত্র সাজা হবে ফাঁসি। ধর্ষকরা যুগে যুগে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় সমাজ থেকে ধর্ষণ দূর করা যায়নি। ধর্ষককে জনসম্মুখে ফাঁসি দিতে হবে। তাহলে আর কেউ ধর্ষণের সাহস পাবে না। ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তির ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকারের ছত্রছায়ায় ধর্ষণের বিস্তার হয়েছে সমাজে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন থাকলেও, পাঁচ দাবি বাস্তবায়ন না করলে নারী সমাজকে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে।’
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য নাজমুন্নাহার নীল, মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাঈদা রুম্মান ও মার্জিয়া বেগম প্রমুখ।