“অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে দল থেকে বহিষ্কার ”
Published: 15th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল দশটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই সভার আয়োজন করা হয়।
জানাগেছে, সভায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যাদেরকে রাজপথে দেখা যায়নি এবং যারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল তারাই এখন নিজেকে বিএনপি সক্রিয় কর্মী হিসেবে দাবি করছেন।
শুধু তাই নয় ফ্যাসিবাদের দোসর ও অনুপ্রবেশকারীদেরকেও আশ্রয়- প্রশ্রয় দিচ্ছে কিছু নেতারা। তারা অনুপ্রবেশকারীদেরকে কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাদেরকে মূল্যায়ন করছে আর যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যে সকল নেতাকর্মীরা রাজপথে তাদের নিজের জীবন পর্যন্ত বাজিয়ে রেখে হামলা মামলা ও জেল নির্যাতনের স্বীকার করে দলের জন্য কাজ করেছে তাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমরা যারা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছি আমাদের কোনো ফেস্টুন ব্যানার নেই। আর অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদীরা বড় বড় নেতাদের ছবি দিয়ে ফেস্টুন ব্যানারে পুরো মহানগর এরিয়া ছয়লাভ করে ফেলেছে।
তার জন্য দায়ী আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তারা সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও জানাগেছে, এসকল অভিযোগের বিষয়ে পরে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদীদের আশ্রয়- প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। দলের বদনাম হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করা যাবে না। এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ।
যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সভার শুরুতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বিএনপি'র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন,মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, ইকবাল হোসেন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র ল ইসল ম ন ত কর ম র ব এনপ রহম ন গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে কথা-কাটাকাটি, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বিএনপি কর্মী আজগর আলীকে (২৬) গুলি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আজগর আলীর বাবা আব্বাস আলী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ইমরান (২৫) অতর্কিত আজগরকে গুলি করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গুলিবিদ্ধ আজগর আলী বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজগর চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। আর অভিযুক্ত ইমরান একই গ্রামের বাসিন্দা। আজগর বিএনপি, আর ইমরান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুক্রবার রাতেই পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পিস্তল, পিস্তলের দুটি গুলি ও গুলির একটি খোসা উদ্ধার করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজগর আলী বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে পণ্ডিত মোড়ে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইমরানের ছোড়া গুলি এসে আমার পায়ে বিদ্ধ হয়। হাসপাতালের ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেছেন, পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সৈয়দপুর গ্রামে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয় ইমরানের চাচা আলতাফ হোসেন ও আজগরের বাবা আব্বাস আলীর মধ্যে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ অপর পক্ষকে হুমকি দেয়। রাত আটটার দিকে আজগরসহ কয়েকজন গ্রামের পণ্ডিত মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ইমরান সেখানে গিয়ে গুলি ছোড়েন। একটি গুলি আজগরের পায়ে বিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন ইমরানকে ধরে পিটুনি দেন। পরে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর থেকেই ইমরান পলাতক। আর গুলিবিদ্ধ আজগরকে প্রথমে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এক্স–রে প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আজগরের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি গুলি ও গুলির একটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।