বাবার মৃত্যুর পর দুই সন্তান ফেলে মা চলে যান অন্যত্র। এর পর থেকেই দুই ভাই ইমামুল হক (৮) ও ছোট ভাই আবদুল্লাহ (৪) দাদা রাজু প্রামাণিকের বাড়িতে মানবেতর জীবন পার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও দেখে পাবনার আটঘরিয়ার সেই দুই এতিম অসহায় শিশুর দায়িত্ব নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নির্দেশে ‘আমরা বিএনপির পরিবার’ এর পক্ষ থেকে শনিবার সকালে আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুরে দুই শিশুর হাতে তারেক রহমানের অনুদান তুলে দেওয়া হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ধারাবাহিকভাবে তাদের মাসিক সাহায্য দেওয়ার।

জানা গেছে, চার বছর আগে সঞ্জয়পুরের রাজু প্রামাণিকের ছেলে আলতাফ প্রামাণিক এক শিশু ছেলে ও গর্ভবতী স্ত্রী রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এর কয়েক মাস পর স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করে ওই দিনই তাদের ছেড়ে চলে যান। আর খোঁজখবর নেননি। অসহায় দুই শিশুর দায়িত্ব নেন দরিদ্র রাজু প্রামাণিক। বাড়ির পাশে ছোট একটা দোকান দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তাদের এমন করুণ অবস্থার একটি ভিডিও তারেক রহমান দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে খুঁজে বের করে আমরা বিএনপি পরিবারকে নির্দেশনা দেন। 

অসহায় এই পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা ও এতিম দুই শিশুর জন্য আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে ঢাকা থেকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন অসহায় এই পরিবারের খোঁজখবর নেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন পর ব র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিগত ১৬ বছর নববর্ষে বিদেশি রাষ্ট্রেরও প্রভাব আমরা দেখেছি: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বিগত ১৬ বছরে যে বাংলা নববর্ষগুলো ছিল, এই নববর্ষে শুধু দলীয় প্রভাব নয়; বরং বিদেশি রাষ্ট্রেরও প্রভাব আমরা দেখেছি। তাদের মতো করে দলের যেমন ছিল, বিদেশি রাষ্ট্রের এজেন্সির ওই রকম করে কনসেপ্ট তৈরি করে এই নববর্ষগুলোর বিভিন্ন ধরনের সেগমেন্ট তৈরি করা হতো, বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হতো।’

আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড নায়েকপাড়া এলাকায় আন্দোলনে নিহত সাগর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথাগুলো বলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ঢাকার মেরুল বাড্ডা থানার সামনে মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিতে মারা যান সাগর রহমান। আজ তাঁর কবর জিয়ারত শেষে সাগরের মা–বাবাসহ স্বজনদের খোঁজখবর নেন তিনি।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, এই যে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ থেকে বা ক্ষমতার জায়গা থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া, এটি কখনোই সাসটেইনেবল নয়। এটি কখনো আমরা প্রত্যাশাও করি না। আমরা মনে করি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে ততটুকু স্পেস বাংলাদেশের মানুষকে অলরেডি দিয়েছে যে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যা ধারণ করি, আমরা সেটাই প্রকাশ করি এবং করতে পারি।’

এনসিপির এই নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আগামীতেও যারাই এই বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্বে থাকুক না কেন, তারা যেন ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার এই সাহসটুকু না করে এবং তাদের জায়গা থেকে বরং আমাদের প্রকৃত যে সংস্কৃতি, সেটাকে ধারণ করার জন্য তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা যেন তারা রাখে।’

সাগরের কবর জিয়ারত নিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বড় দায়বদ্ধতা যে আমাদের যারা শহীদ পরিবার আছে কিংবা আমাদের যারা আহত যোদ্ধা আছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে থাকা। শহীদ পরিবারটা যেন আমাদের পরিবার হয়ে ওঠে। এটা সত্য যে এক-দেড় হাজার পরিবারের কাছে আমরা চাইলেই যেতে পারি না। কিন্তু আমরা যখন যে এলাকায় যাই, তখন ওই এলাকায় যে শহীদ পরিবার থাকে, তাদের বাসায় যাওয়ার এবং খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের জায়গা থেকে যতটুকু করা সম্ভব, সেটা আমরা চেষ্টা করি।’

গাজায় গণহত্যার বিষয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বকে একটি বার্তাই দিতে চাই, ফিলিস্তিনের গাজায় মজলুম মুসলিম ভাইদের সঙ্গে যেটা হচ্ছে, এটা একটা গণহত্যা। এই গণহত্যার যে রক্ত, এই রক্তের দাগ নেতানিয়াহুর হাতে আছে, এই রক্তের দাগ নেতানিয়াহুকে যারা বিভিন্নভাবে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে, এটা দেশ হতে পারে, ব্যক্তি হতে পারে, তাঁদের প্রত্যেকের গায়ে আছে। আমরা বাংলাদেশের একজন মানুষ হিসেবে পুরো পৃথিবীর কাছে এই আহ্বান জানাতে চাই যে আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় যে ভাইয়েরা আছেন, তাঁদের পক্ষে কথা বলা শুরু করুন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিগত ১৬ বছর নববর্ষে বিদেশি রাষ্ট্রেরও প্রভাব আমরা দেখেছি: সারজিস আলম