রাজধানীর গাবতলীতে আজ শনিবার বিকেলে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দেওয়ায় ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে একটি বাসটি আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

ওই ব্যবসায়ীর আসাদুজ্জামান এরশাদ। তিনি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল চারটার দিকে তিনি তাঁর মালিকানার একটি বাস মেরামত করাতে গাবতলী বাস টার্মিনালে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল কবিরের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজেরা তাঁর বাসটি আটকে রাখেন। ওই ঘটনা তিনি দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানিয়েছেন।

আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, এর আগেও তাঁর কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তিরা। ওই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় তখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা খাইরুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, আসাদুজ্জামানের কাছে এক শ্রমিক টাকা পান। আসাদুজ্জামানকে সেই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আজ বিকেলে যোগাযোগ করা হলে দারুসসালাম থানার ওসি রকিব-উল-হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া

৬ বছর পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল উৎসবের রঙ, বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ  শোভাযাত্রা।

পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে এসে শেষ হয়। মহিশের গাড়ি, পালকি, মুখোশ, গ্রামীণ খেলনা, রঙিন ব্যানার, পটচিত্র ও বাদ্যযন্ত্রে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।

দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজনে আরো ছিল স্বাধীনতা চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের শিক্ষার্থী,  শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, ছাত্র ও ছাত্রী হলকে স্বতন্ত্রভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত দোকানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে পারছি। শুনেছি এর আগে ২০১৯ সালে আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে এমন আয়োজন হয়েছিল। নিজেদের হাতে স্টল সাজানো, পিঠা বানানো, বিক্রি করা। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলা সংস্কৃতির এমন প্রাণবন্ত আয়োজন আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “সারাদিন ক্যাম্পাসে একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সবাই যেন একে অপরের আপন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়।”

৬ বছর আগে ২০১৯ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষের উৎযাপন করা হলেও মাঝখানে করোনা, রোমজান থাকার কারনে গত কয়েকবছর এই উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ